তৃণমূলে রকেট গতিতে উত্থান! নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে চেনেন না এলাকার বিধায়ক
তৃণমূলে রকেট গতিতে উত্থান! নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে চেনেন না এলাকার বিধায়ক
দলের যুব রাজ্য কমিটির সম্পাদক অথচ তাঁকে চেনেনই না বলে দাবি এলাকার বিধায়কের। বুধবার চাকরি দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ায় হুগলির বলাগড়ের কুন্তল ঘোষের। যিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক পদে আছেন। নাম শুনেছেন, কিন্তু তাঁকে চেনেন না বলে দাবি বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির।
বলাগড়ের বাসিন্দা কুন্তল ঘোষ
বলাগড় ব্লকের শ্রীপুর বলাগড় পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কুন্তল ঘোষ। শুধু হুগলি জেলা নয়, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদ একাধিক বিএড, ডিএলএড কলেজে, ফার্মসিউটিক্যাল ইনস্টিটিউট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে যুক্ত কুন্তল। জিরাট বাসস্ট্যান্ডে একটি বাচ্চাদের স্কুলও রয়েছে কুন্তলের। জেলা তৃণমূলের একটা অংশ বলছে, ধীরে ধীরে শিক্ষা ব্যবসায় এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন এই যুব তৃণমূল নেতা।
২০১৬-তে রাজনীতিতে
২০১৬ সালে তার রাজনীতিতে প্রবেশ। তারপর খুব দ্রুত উত্থান ঘটে রাজনীতিতে। সম্প্রতি রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান কুন্তল ঘোষ। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ কিংবা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও দেখা গেছে সোশাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী রুনা খাতুনেরও ঘনিষ্ঠ এই যুব নেতা।
মাঝে মধ্যে আসেন বলাগড়ের বাড়িতে
বুধবার
মানিক
ভট্টাচার্য
ঘনিষ্ঠ
তাপস
মণ্ডল,
তাঁর
নাম
সামনে
আনার
পর
থেকে
স্থানীয়রা
সেই
ভাবে
মুখ
খুলতে
চাইছেন
না।
তবে
তাঁরা
বলছেন,
এলাকায়
ভাল
মানুষ
হিসাবেই
পরিচিত
তিনি।
স্থানীয়
সূত্রে
জানা
যায়,
কলকাতায়
তাঁর
একটি
বাড়ি
রয়েছে।
মাঝে
মধ্যে
বলাগড়ের
বাড়িতে
আসতেন।
এদিন
সকালে
বলাগড়ে
কুন্তল
ঘোষের
বাড়িতে
গেলে
দেখা
যায়,
তিনটি
কুকুর
রয়েছে।
সেই
পোষ্যদের
দেখভালের
জন্যে
কয়েকজন
লোক
রাখা
রয়েছে।
যদিও
তাঁরাও
এ
বিষয়ে
মুখ
খুলতে
নারাজ।
চেনেন না বিধায়ক
বলাগড়ের
বিধায়ক
মনোরঞ্জন
ব্যাপারি
বলেছেন,
তাঁর
সঙ্গে
আলাপ
নেই।
তবে
নাম
শুনেছেন।
ঘটনা
সত্যি
হলে
দল
তার
পাশে
থাকবে
না,
বলেছেন
তিনি।
বিরোধীদের
অবশ্য
দাবি,
মাত্র
অল্প
কয়েক
বছরে
এই
ভাবে
ফুলে
ফেঁপে
উঠেছিল
কুন্তল।
শুধুমাত্র
১৯
কোটি
নয়,
আরও
বহু
কোটির
খেলা
খেলেছে
সে,
যা
সামনে
আসা
দরকার।
পাশাপাশি
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
তার
সঙ্গে
যেভাবে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ছবি
রয়েছে,
তার
অর্থ
দল
সবই
জানে।
তাপস মণ্ডলের দাবি
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে যাওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল, বুধবার ইডির ডাকে নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে এবং কুন্তল ঘোষকে সামনা-সামনি বসিয়ে জেরার সময় সে ১৯ কোটির কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি তাপস মণ্ডলের।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বিজেপি নেতা বেচু নায়েক বলেন, দেখলাম টিভিতে কুন্তল সারে উনিশ কোটি টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নামে। তাদের মনে হয় ও একশ কোটি টাকা তুলেছে। একজন সমাজসেবী থেকে উনি হঠাৎ ফুলে ফেঁপে কলা গাছ হয়ে গেলেন, মানুষ কি বুঝতে পারছে না। বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হচ্ছে। দল কি জানে না? ওনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব তদন্ত করে সামনে আনা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিপিআইএম-এর প্রতিক্রিয়া
সিপিআইএম হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অতনু ঘোষ বলেছেন, তৃণমূলের বিধায়ক বা নেতারা যাই বলুন না কেন, দল সবটাই জানে এবং দলকে সামনে রেখে এসব দুর্নীতি করেছে। বেকার শিক্ষিত যুবক যুবতীদের থেকে টাকা নিয়েছে, চাকরির নাম করে।
(ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
TMC: রাস্তা নেই-বাড়ি নেই, দিদির দূত কর্মসূচিতে বিধায়ককে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ