প্রতিবাদে 'হোক আলিঙ্গন'! মেট্রোয় 'নীতি পুলিশগিরি-র' প্রতিবাদ
হোক আলিঙ্গন। পোস্টার ব্যানারে তুলে ধরে গান করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রতিবাদ টালিগঞ্জ স্টেশনে। পরে বিক্ষোভরত তরুণ-তরুণীরা মেট্রোয় যান দমদম স্টেশনে। সেখানে গিয়েও নীতি পুলিশগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
হোক আলিঙ্গন। পোস্টার ব্যানারে তুলে ধরে গান করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রতিবাদ টালিগঞ্জ স্টেশনে। পরে বিক্ষোভরত তরুণ-তরুণীরা মেট্রোয় যান দমদম স্টেশনে। সেখানে গিয়েও নীতি পুলিশগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন।
বুধবার বেলা বারোটা। সোমবার রাতে মেট্রোয় আলিঙ্গনরত যুগলকে হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হলেন সহনাগরিকরা। এর আগে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাসট্যাগ হোক আলিঙ্গন নিয়ে প্রচার করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যানার-পোস্টার তুলে ধরেন তরুণ-তরুণীরা। গান করে একে অপরকে আলিঙ্গন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।
এরপর তরুণ-তরুণীরা মেট্রোয় গান করতে করতে যান দমদম স্টেশনে। সেখানে গিয়েও প্রতিবাদ জানান তাঁরা। ঘটনায় নীতি পুলিশগিরির বিরোধিতা করা হয়।
এর আগে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র বিরোধিতা করে গোবলয়ে প্রেমিক প্রেমিকাদের হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র বিরোধিতার ছায়া পড়েছে এই শহরেও। যে শহর কিনা নীতি পুলিশের বিরোধিতা করে, সেখানেই কিনা নীতি পুলিশগিরি। ঘটনায় হতবাক অনেকেই।
সোমবার রাতের ঘটনার পরে মঙ্গলবার সারাদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্যের ঝড় ওঠে। অন্যের স্বাধীনতায় কেন হস্তক্ষেপ করছেন প্রবীণ কিংবা মাঝ বয়সীয়রা, সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
এমন কী ভিড়ের মধ্যে যখন মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করা হয়, তখন এইসব মানুষের বিবেক কোথায় থাকে সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কোনও মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনায় কতজন মানুষ এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করেন সেই প্রশ্নও করেছেন অনেকে। তবে সমাজের একটি অংশের মানুষ অবশ্য নীতি পুলিশগিরিকে সমর্থন করেছেন।
Youngsters offer 'free hugs' to people outside Dum Dum metro station in kolkata', as a mark of protest against people who had reportedly beaten up a couple for hugging in the metro. Protesters say,'Hugging is not something visually perverted, it's a sign of affection' #WestBengal pic.twitter.com/Hr3UwVXfpY
— ANI (@ANI) May 2, 2018