সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করতে ২৬টি ফেরি ঘাটে বসতে চলেছে স্মার্ট গেট
শহরের
২৬টি
ফেরি
ঘাটে
স্মার্ট
গেট
বসানোর
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে
রাজ্য
পরিবহন
দপ্তর।
ইতিমধ্যেই
তিনটে
ফেরি
ঘাটে
স্মার্ট
গেট
বসানোর
পর
থেকে
প্রতিদিন
১৫
হাজার
থেকে
২০
হাজার
টাকা
উপার্জন
বেড়ে
গিয়েছে।
এর
অর্থ
বছরে
৬০
লক্ষ
টাকা
আয়
হবে
সরকারের।
তিনটে
গেটের
মাধ্যমে
সরকারের
আয়
বৃদ্ধি
পাওয়ার
পরই
পরিবহন
দপ্তর
এই
পদক্ষেপ
করার
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
পরিবহন দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এই পদক্ষেপ ফেরি পদ্ধতির সঙ্গে শহরের বাস পরিবহন পদ্ধতিকে সংহত করবে। নিত্যযাত্রীরা একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে বাস ও ফেরি উভয় যানেই ভাড়া দিতে পারবেন। লাইনে দাঁড়ানোর দরকার পড়বে না। পরীক্ষামূলকভাবে রাজ্য পরিবহন কর্পোরেশন ফেয়ারলি প্লেস, মিলেনিয়াম পার্ক জেটি ও হাওড়া স্টেশন ঘাটে এই স্মার্ট গেট বসায়। এরপরই সরকার লক্ষ্য করে যে ২০ শতাংশ আয় তাদের বেড়ে গিয়েছে। প্রত্যেক মাসে ৫ লক্ষ করে আয় হচ্ছে। খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে দেখা গিয়েছে যে বড় অংশের যাত্রীরা টিকিট না কেটে কৌশল করে বিনা টিকিটের সফর করছেন।
পরিবহন দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, 'আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শহরের বাকি ২৬টি ঘাটে ঘূর্ণায়মান দরজা বসাবো। এতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীরাও একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে সুবিধাভোগ করতে পারবেন। যাত্রীদের লাইনে দাঁড়াতে হবে না। যাত্রীরা বাস থেকে নামার পর সোজা ফেরি ঘাটে এসে ওই একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এটা অনেকটাই সময় বাঁচাবে যাত্রীদের।’
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়, রাজ্য সরকার অত্যন্ত নিম্নমানের নৌপথটিকে নতুন করে সংস্কার করছে। পুরনো নৌকাগুলি এবং যাতায়াতের রাস্তা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে এবং ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সুযোগ–সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি জেটিতে লাইফগার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে যাত্রীসংখ্যা ১০০ শতাংশ বাড়ার আভাস দিয়েছে পরিবহন দপ্তর।