শুনানি শেষে ডিএ নিয়ে আশার আলো! যা বলছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা
হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলির সওয়াল দিয়ে শুনানি শেষ হয়। এখন রায়দানের অপেক্ষা।
হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলির সওয়াল দিয়ে শুনানি শেষ হয়। এখন রায়দানের অপেক্ষা। এই মামলার রায়দান কবে তা স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে যে শুনানি হয়েছে, তাতে খুশি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁদের আশা আদালত রায় দেবে সরকারি কর্মীদের পক্ষে।
ডিএ নিয়ে মামলা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০১৬-র ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ যখন ছিল ১২৫ শতাংশ, সেই সময় রাজ্যের কর্মীদের ডিএ ছিল ৭৫ শতাংশ। রাজ্যের কর্মীদের তরফে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করা হলে, সেখান থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে ডিএ পড়ে না। এরপর স্বপন কুমার দে নামে রাজ্য সরকারি কর্মী হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই সময়কার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় একাধিকবার। নিশীথা মাত্রে অবসর নেওয়ার পর মামলাটি দেবাশিস করগুপ্ত এবং ববি শরাফের বেঞ্চে যায়। এই বেঞ্চেও একাধিকবার শুনানি হয়। সব মিলিয়ে এই মামলায় ৩৪ বার শুনানি হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সর্দার আমজাদ আলি। অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর সওয়ালে একাধিক বিষয় তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ১৯৫৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কছা তুলে ধরলেও, পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বহু মামলার রায়ে বলা হয়েছে ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকেই স্পষ্ট বছরে দুবার ডিএ দিতে হবে। আর ডিএ-র হার প্রাইস ইনডেক্স বা পিআইআর-এর ওপর নির্ভর করবে।
আইনজীবী আমজাদ আলি বিচারপতির সামনে বলেন, দিল্লি ও চেন্নাইয়ের রাজ্য সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান। কিন্তু এরাজ্যে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা বঞ্চিত। বিষয়টি সংবিধানের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বিচারপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর একটি সভায় ঘেউ ঘেউ প্রসঙ্গও তুলেছিলেন।
তবে মঙ্গলবার শুনানির শেষে মামলাকারী সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, যে শুনানি হয়েছে তাতে তাঁরা খুশি। তাঁদের আশা আদালত রায় দেবে সরকারি কর্মীদের পক্ষে।