সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কড়া বার্তা হাইকোর্টের, অযথা ধন্দ তৈরি করছে রাজ্য
দু-সপ্তাহ আগে এক ধাক্কায় ২৫ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার হাত থেকে রক্ষা পেল না রাজ্য।
দু-সপ্তাহ আগে এক ধাক্কায় ২৫ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার হাত থেকে রক্ষা পেল না রাজ্য। মঙ্গলবার ফের ডিএ মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলল, সরকারি কর্মীদের কত শতাংশ ডিএ দিচ্ছে রাজ্য, তা কেন আদালতে স্পষ্ট করছে না?
এদিন হাইকোর্ট জানতে চায়, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের কত শতাংশ ডিএ দেয়? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি। তিনি সেই প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। আদালতে গেজেট নোটিফিকেশন তুলে দিয়ে এজি জানান, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ শতাংশ ডিএ দেবে রাজ্য। গত ২২ জুন এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার।
এই গেজেট দেখেই বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে একই পদের কর্মীদের ডিএ-র এত ফারাক কেন? উল্লেখ্য দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ে ডিএ বেশি কলকাতার তুলনায়। এই প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, ওই তিন শহরে দ্রব্যমূল্যের উপর সামঞ্জস্য রেখে ওই ডিএ নির্ধারিত। কলকাতার তুলনায় দ্রব্যমূল্য বেশি ওই তিন শহরে।
এদিন স্যাটের রায় নিয়েও রাজ্য সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিচারপতি বলেন, আপনারা বারবার স্যাটের রায়ের প্রসঙ্গে তুলে ধরছেন। কিন্তু স্যাট কি কোথাও বলেছে যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা পাওয়ার অধিকার নেই কেন? কারণ ব্যাখ্যা করেনি স্যাট। তাই স্যাটের রায় নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আরও এক জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য! তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দুর স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা]
এজি এরপরই জানান, ডিএ পাবার কোনও অধিকারই নেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের। বিচারপতি এদিন বলেন, রোপা অনুযায়ী বেতন কমিশনের সুপারিশে বছরে দু'বার ডিএ পাওয়ার অধিকার আছে সরকারি কর্মীদের। আপনারা মুখে বলছেন বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে মহার্ঘভাতা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু নিজেরাই আবার বলছেন অধিকার নেই সরকারি কর্মীদের। এর ফলে দ্বিচারিতা হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের। রাজ্য সরকার ডিএ ঘোষণা করছে, আবার তারাই অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই কথা তুলে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট।
[আরও পড়ুন:চার কলেজের টিএমসিপি ইউনিট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত, কড়া ব্যবস্থা নিল শাসক দল]