মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের হেনস্থা! যাদবপুরকাণ্ডে ডিসি রশিদ মুনির খানকে শোকজ হাইকোর্টের
মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের হেনস্থা! যাদবপুরকাণ্ডে ডিসি রশিদ মুনির খানকে শোকজ হাইকোর্টের
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের হেনস্থা। কলকাতা পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ডিসি রশিদ মুনির খানকে শোকজ করেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ আগামি ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলেছে। আদালতের নির্দেশে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের যে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে যাদবপুরে সেসময় পুলিশের কী ভূমিকা ছিল তা জানতে চাওয়া হয়েেছ।
পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশন
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জাতিয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। তাঁরা গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানানো হয়েয ২৮ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের।
প্রতিনিধিদের হেনস্থা
আদালতের নির্দেশ মেনেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছিলেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু যাদবপুরে তাঁদের তাঁদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। ২৯ তারিখ ঘটেছিল সেই ঘটনা। যাদবপুরে বিজেপি কর্নীদের নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন যাঁরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালাতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ৭ জন আহত হয়েছিলেন সেই ঘটনায়।
ডিসিকে শোজন
শুক্রবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানিতে এই নিয়ে কলকাতা পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেদিন পুলিশ কী করছিলেন জানতে চায় আদালত।তারপরেই ডিসি রশিদ মুনির খানকে শোকজ করে হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। এবং পরবর্তীশুনানির দিন তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ জুলাই।
রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অবিলম্বে সব ঘটনার এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে। সকলের গোপন জবানবন্দি নিতে হবে। কাঁকুড়গাছিতে যে বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে বলে দাবি বিজেপির তার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। এবং ভোট পরবর্তী হিংসায় আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।