নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে কমিশনের রাশ ধরল আদালত, জট কাটছে না পঞ্চায়েত নির্বাচনের
নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই কমিশনকে ভোট করতে হবে বলে জানালেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। কমিশনকে বাহিনী মোতায়েনের হিসেব চাইল আদালত।
আগে নিরাপত্তা, তারপর ভোট। আবারও নির্বাচন কমিশনের উপর নির্দেশ আরোপ করল হাইকোর্ট। নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই কমিশনকে ভোট করতে হবে বলে জানালেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রস্তাব গৌতমের, পত্রপাঠ স্বাগত জানিয়ে বার্তা অধীরের ]
মঙ্গলবার সকালেই কংগ্রেস ও বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলস্বরূপ পঞ্চায়েত নির্বাচনের রায়ে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পিডিএসের করা নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় ফের আদালতের নির্দেশের বেড়াজালে আবদ্ধ হল কমিশন।
এদিন হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা হলফনামা আকারে জানাতে হবে। এদিন মামলা চলাকালীন বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন সান্ডিল্যের কাছে জানতে চান- নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
কমিশনের সচিব জানান, এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন বিচারপতি জানতে চান অন্য দলগুলির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে কি না। তখন সচিব জানান, নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন জেলার এসপিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে।
এরপরই আদালত জানায়, অন্য দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। কোথায় কত বাহিনী নিয়োগ করা হবে, তা আদালতে জানাতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের অভিযোগ মনোনয়ন পর্বেই রক্ত ঝরেছে। ভোটের দিন আরও সন্ত্রাস হতে পারে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ভোটগ্রহণের আর্জি জানানো হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে। আদালত সেই দাবিকে মান্যতা দেয়।
[আরও পড়ুন: বিজেপির অনলাইন দাবিকেই মান্যতা! হোয়াটস অ্যাপে মনোনয়নকে স্বাগত জানালেন দিলীপ]