পাহাড়ে বাহিনী প্রত্যাহারে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত গড়াল আদালতে, কী নির্দেশ হাইকোর্টের
পাহাড়ের অশান্ত হয়ে ওঠার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। সেবারও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। ফের আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য।
পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত গড়াল আদালতে। রাজ্যের তরফে বাহিনী প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি মঙ্গলবার হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে বিষয়টি উল্লেখ করেন। এরপরই হাইকোর্ট কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
পাহাড়ের অশান্ত হয়ে ওঠার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। সেবারও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। শেষমেশ কেন্দ্রকে বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইমতো কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ে বাহিনী পাঠায়।
কিন্তু পাহাড় পুরোপুরি শান্ত হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো ১০ কোম্পানি সেনা পাহাড় থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেই আপত্তি তোলে রাজ্য। রাজ্যের তরফে দাবি, এখনও পাহাড় পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। মাত্র তিনদিন আগে পাহাড়ে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের। জখম হয়েছেন আরও চার পুলিশকর্মী।
তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অমানবিক, অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র চায় না দার্জিলিংয়ে শান্তি ফিরুক। বাংলা ভাগে ইন্ধন দিতেই বিজেপি পার্টি অফিসের মদতে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
এরপরই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন হাইকোর্টে আবেদন করেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এমনকী কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আদালত অবমাননকার বলে উল্লেখ করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্ট কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়।