পঞ্চায়েত নির্বাচন কি পিছিয়ে যাবে? কী বলছে আদালত
প্রয়োজনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পিছোতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি। খবর আদালত সূত্রে।
প্রয়োজনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পিছোতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি। খবর আদালত সূত্রে। নির্বাচনে মনোনয়ন জমা নিয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা দিতে পারায় তিন দিন সময় দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে।
৯ এপ্রিল বিকেল ৩টের পর ১০ এপ্রিল বিকেল ৩ টে পর্যন্ত কতজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তার তথ্য চান বিচারপতি। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর কাছে ছিল না। একইসঙ্গে এই সময়ে কমিশনের কাছে কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে তাও জানতে চায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরেই ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তিন দিনের মধ্যে।
এই সময়ই বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। সেগুলির স্ক্রুটিনি চলছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনও এর মধ্যেই। ফলে এই সময় পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটবে। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি এই সময় নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। বলেন, প্রয়োজনে নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হবে।