কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দ্বন্দ্ব থামিয়ে শান্তি ফেরান পাহাড়ে, কেন্দ্র-রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বৈরথে বিরক্তি প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রে। একদিনের মধ্যে বিতর্ক মেটাতে নির্দেশ।
কেন্দ্র ও রাজ্যের অনড় মনোভাবের জন্যই পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বৈরথে বিরক্তি প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রে। তিনি ভর্ৎসনা করে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য এবার অনড় মনোভাব থেকে সরে এসে পাহাড় সমস্যার সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা করুক সর্বাগ্রে।
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, পাহাড়ে অশান্তি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী পাঠানো নিয়ে এত বিতর্ক কেন? দুপক্ষেরই উচিত ছিল যৌথ উদ্যোগে একটা সমাধান সূত্র বের করা। তা না করে নিজেদের মধ্যে কোন্দলেই ব্যস্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের কাছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানোর কথা ছিল তারা কত বাহিনী পাঠাতে পারবে। এই প্রশ্নর উত্তরে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ বলেন, রাজ্যের হাতে কত বাহিনী আছে, তার মধ্যে কত বাহিনী পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে, তা জানার পরই কেন্দ্র জানাবে কত বাহিনী পাঠাবে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে তা জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের এই দা্বির তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র এরকম কোনও চিঠি রাজ্য সরকারকে দেয়নি। বা রাজ্য সরকার এমন কোনও চিঠি পায়নি।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ে অশান্তি নিয়ন্ত্রণে তিন কোম্পানি মহিলা কেন্দ্রীয় বা্হিনী পাঠিয়েছিল। এজি দাবি করেন, মহিলা বাহিনীর পরিবর্তে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। পা্হাড়ে তিন কোম্পানি সশস্ত্র সীমা বল রয়েছে। এই সীমা বলের পরিবর্তে তিন কোম্পানি সিআরপিএফ চাইছে রাজ্য।