আরও বিপাকে মানিক ভট্টাচার্য! ১৫ দিনের মধ্যে জরিমানার ২ লাখ টাকা মেটাতে বলল হাইকোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। অপর একটি মামলাতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত একটি মাম
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। অপর একটি মামলাতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানেই মানিক ভট্টাচার্যকে এমন নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
জেলে গিয়ে এই নির্দেশের কপি মানিকবাবুকে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে আদালতের তরফে। আর সেই মত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা মানিক ভট্টাচার্যকে দিতে হবে বলেও নির্দেশে জানানো হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশে নতুন করে মানিকের উপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ জানায়নি বলে অভিযোগ। এমনকি এই বিষয়ে জানতে
দীর্ঘ আট বছর কেটে গিয়েছে বলেও আদালতে আবেদন মামলাকারীর। এখনও ফল জানাতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মালারানী পাল। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর টেট পরীক্ষার ফল জানতে না পারার কারণে পরবর্তী পরীক্ষাতে বসতে পারেননি বলেও দাবি মালারানীর। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু'টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলে অভিযোগ তাঁর।
আর এর ফলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে বঞ্চিত বলে দাবি করেন মালারানী। আদালত এই বিষয়ে রীতিমত আশ্চর্য হয়। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা দিলে ফল জানাটা পরীক্ষার্থীর অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। তবে এজন্য নাম না করে মানিকই দায়ী করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালত বলেন, পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এরপরেই দীর্ঘ শুনানি চলে। শুনানি শেষে তৎকালীন পর্ষদের থাকা মানিক ভট্টাচার্জকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত। তবে মানিক ভট্টাচার্য জেহেতু জেলে রয়েছে সেই কারণে মামলাকারীর আইনজীবী জেলে গিয়ে নির্দেশের কপি তাঁকে দিয়ে আসবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, কেলেঙ্কারির অন্যতম কিংপিন বলেও দাবি করেছে সংস্থা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর তদন্তে নেমে মানিকের কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।