হৃদয় বাসা বাঁধল না শরীরে, সাফল্যের হ্যাটট্রিকের পরই ব্যর্থতা শহর কলকাতায়
এবার হৃদয় প্রতিস্থাপনে সঙ্গী হল ব্যর্থতা। পর পর তিনবার সাফল্য এলেও চতুর্থবারে হোঁচট খেতে হল শহর কলকাতাকে। বারুইপুরের চম্পা নস্করের হৃদয় পেলেন না হাওড়ার নলপুরের অনিমা নস্কর।
এবার হৃদয় প্রতিস্থাপনে সঙ্গী হল ব্যর্থতা। পর পর তিনবার সাফল্য এলেও চতুর্থবারে হোঁচট খেতে হল শহর কলকাতাকে। বারুইপুরের চম্পা নস্করের হৃদয় পেলেন না হাওড়ার নলপুরের অনিমা নস্কর। অ্যাপেলো হাসপাতাল জানিয়ে দিল, চম্পা নস্করের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। হৃদয় না মিললেও, যকৃত প্রতিস্থাপন করা হল অ্যাপেলো হাসপাতালে।
২৩ সেপ্টেম্বর বছর ৪৭-এর চম্পা নস্কর ভর্তি হল মেডিকোতে। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। এরপরই হৃদয় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। চম্পাদেবীর হৃদয় প্রতিস্থাপিত হওয়ার কথা ছিল হাওড়ার অনিমাদেবীর শরীরে। কিন্তু চম্পাদেবীর হৃদয় প্রতিস্থাপনযোগ্য ছিল না। রবিবার সকাল থেকে অপারেশন প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা সাফল্য পেল না।
তবে চম্পাদেবীর যকৃত প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রিন করিডোর করে অ্যাপেলোতে আনা হয়। সেখানে কলকাতারই এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন হল যকৃত। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কলকাতা যে সাবলীল হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ মিলল আবারও। এক সপ্তাহের মধ্যে তিন-তিনবার অঙ্গ প্রতিস্থাপন হল শহরে।
এর আগে গত রবিবার ও সোমবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু-দুটি হৃদয় প্রতিস্থাপন হয় কলকাতায়। রবিবার রাতে কলকাতার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের হৃদয়ের বন্ধন ঘটেছে। তারপর হৃদয় আসে পাটনা থেকে। মুকুন্দপুরে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালে পুরুষ হৃদয় প্রতিস্থাপন হয় হাওড়ার রাখি মণ্ডলের শরীরে। পূর্ব ভারতে টানা তৃতীয়বার হৃদয় প্রতিস্থাপন সফল হয়।
গত মে মাসে দিলচাঁদ সিংয়ের শরীরে হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার পর তিনি এখন সুস্থ। রবিবার রাতে দিলচাঁদের মতো সমীরণ দত্তের শরীরের অন্যের হৃদয় বাসা বাঁধল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের হাওড়ার রাখি মণ্ডলের শরীরের পাটনার এক যুবকের হৃৎপিণ্ড স্থান পায়। এবার শুধু হৃদয় প্রতিস্থাপনযোগ্য না হওয়ায় সাফল্য অধরা রয়ে গেল।