কাজে গাফিলতি, রাতারাতি ৩ সরকারি হাসপাতালের সুপারকে বদলি করল স্বাস্থ্যদফতর
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ইতিমধ্যে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।
কলকাতা, ২ জানুয়ারি : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ইতিমধ্যে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীদের একাংশকে বাগে আনতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলি নিয়ে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। ডাক্তার ঠিক সময়ে না আসা থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্মীদের খারাপ ব্যবহার সবকিছুই সহ্য করতে হয় সাধারণ মানুষকে। সেখানে দাঁড়িয়ে এবার কড়া ব্যবস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর নির্দেশে রাতারাতি তিনটি মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে বদলির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। তিনটি মেডিক্যাল কলেজ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং বাঁকড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই তিন হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার।
জানা গিয়েছে, এই তিন হাসপাতালের সুপারদের ঠিক সময়ে হাসপাতালে পাওয়া যেত না। এমনকি, ঠিক সময়ে তারা নিজস্ব দফতরে আসছিলেন না বলেও অভিযোগ। আর হাসপাতালের সুপার না আসায় সরকারি হাসপাতালের কর্মী এবং অন্যান্য চিকিৎসকদের মধ্যেঅ কাজে গাফিলতি দেখা দিচ্ছিল। ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে।
গত কয়েকদিন আগে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। খবর যায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও। অভিযোগ পাওয়া মাত্র নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া শুরু। শেষমেশ কাজে গাফিলতি পাওয়ার পরেই তিন সরকারি হাসপাতালের সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, এই রদবদলে আরজি কর হাসপাতালের নয়া সুপার হচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের নয়া সুপার হচ্ছেন অ্যনাটমি বিভাগের প্রধান মৈত্রেয়ী কর। এবং বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন সুপার হচ্ছেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: শুভেন্দুবিকাশ সাহা।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সরকারের। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসচিবকে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিতে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, যদি কোনও হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে গাফিলতিত অভিযোগ প্রমাণিত সেক্ষেত্রে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই নির্দেশই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যদফতরকে দেওয়া হয়েছে।