সঙ্গে ছিল কনট্রাক্ট কিলার! চিকিৎসকের বাড়িতে আত্মীয়ের হামলার কিনারা করল পুলিশ
হরিদেবপুর থানার জোকার ডায়মন্ড পার্কে চিকিৎসকের বাড়িতে আত্মীয়ের ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ধরা হয় আত্নীয় যুবতী ঐন্দ্রিলা রায়কে।
হরিদেবপুর থানার জোকার ডায়মন্ড পার্কে চিকিৎসকের বাড়িতে আত্মীয়ের ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ধরা হয় আত্নীয় যুবতী ঐন্দ্রিলা রায়কে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় এক কনট্রাক্ট কিলার এবং এক সুপারি কিলারকে। টাকা চেয়েও না পাওয়ায় চিকিৎসক আত্মীয়ের বাড়িতে ডাকাতির সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চম্পাহাটির বাসিন্দা ঐন্দ্রিলা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে পিসেমশাই চিকিৎসক অরূপকুমার দাসের কাছে বিদেশযাত্রার জন্য টাকা চেয়েছিল সে। জানা গিয়েছে ১৯ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু তা না পাওয়ায় একেবারে ডাকাতির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। এর জন্য প্রথমেই সে যোগাযোগ করে সোনারপুরের কনট্রাক্ট কিলারের সঙ্গে। সেই যোগাযোগ করিয়ে দেয় এক সুপারি কিলারের সঙ্গে। খোঁজ খবর নিয়ে ঐন্দ্রিলা জানতে পারে পিসেমশাইয়ের বাড়িতে ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি সবসমনই থাকে।
বুধবার সকালে শুরু হয় অপারেশন। একটি গাড়িতে করে সোনারপুরের কনট্রাক্ট কিলারকে নিয়ে ঐন্দ্রিলা পৌঁছে যায় টালিগঞ্জে। সেখানে সুপারি কিলারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু সে না আসায় দুজনেই জোকার ডায়মন্ড পার্কে চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয়।
কলিং বেল বাজানোর পর পরিচারিকা কল্পনা আগে থেকে চেনার সুবাদে দরজা খুলে দেয়। ঐন্দ্রিলা সেই সময় জল খেতে চায়। পরিচারিকা যায় জল আনতে। সেই সময় পরিচারিকাকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে তারা। চিৎকার করতে থাকে কল্পনা। সেই সময় দ্বোতলার স্নানঘর থেকে বেরিয়ে আসে চিকিৎসকের বড় কন্যা। তাঁকেও আঘাত করা হয়। সে ভয়ে আলমারির চাবি তুলে দেয়। সেখান থেকে নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং আড়াই লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।
উপস্থিত ছিলেন দেবশ্রী! তাতেও ভরল না দিলীপের কর্মীসভার মাঠ
বাড়িতে লুঠ চালানোর পর ঐন্দ্রিলা এবং ওই কনট্রাক্ট কিলার যায় টালিগঞ্জে। সেখানে রাস্তাতেই পোশাক পরিবর্তন করে ঐন্দ্রিলা। আর আগেকার পোশাক ফেলে দেয় ভ্যাটের মধ্যে। পুলিশ ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসক কন্যা এবং পরিচারিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
তৃণমূলেই আছেন তিনি, চিঠিটা ভুয়ো! কারণ জানালেন দেবশ্রী রায়