মমতার বাসভবনে প্রবেশ নিয়ে আজব 'যুক্তি' হাফিজুলের বাবার, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে
পুলিশের নিরাপত্তা-বেষ্টনী পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে প্রায় সাত ঘণ্টা লুকিয়েছিল হাসনাবাদের হাফিজুল। দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঘাপটি মেরে বসে থাকার পর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সে।
পুলিশের নিরাপত্তা-বেষ্টনী পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে প্রায় সাত ঘণ্টা লুকিয়েছিল হাসনাবাদের হাফিজুল। দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঘাপটি মেরে বসে থাকার পর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সে। এরপর ধৃত হাফিজুলের বাবা যে দাবি করেছেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। হাফিজুলের বাবা জানিয়েছেন, হাফিজুল বিয়ে করতে চায় তাই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকেছে।
শনিবার মধ্যরাতে হাফিজুল ঢুকে পড়েছিল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে। তার পরদিন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। সেই থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। শুধু কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই নয়, হাফিজুল ঢোকার চেষ্টা করেছিল নবান্নেও। হাফিজুলের বাবাও তা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, এটাই প্রথমবার নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নেও যায় হাফিজুল।
এরপর হাফিজুলের বাবা দাবি করেন, আমার ছেলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিয়ে করতে চায়। বারবার বারণ করেছি শোনেনি। ওর মাথার ঠিক নেই। মাঝেমধ্যেই ওর এমন মানসিক বিকারের সমস্যাটা বাড়ে। প্রথমবার পুলিশ ওকে নবান্নে ধরেছিল। পুলিশের সঙ্গে কথা হতে জানিয়েছিলাম ছেলেটার মাথার ঠিক নেই। তাই এমন করছে। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে গিয়েছে।
হাফিজুলের বাবা বলেন, আমার ছেলে পাগল হয়ে গিয়েছে। না হলে এমন কথা বলে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিয়ে করতে চায় বলে। ওই পাগলকে কে বোঝাবে বলুন। বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে হাফিজুল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর থেকেই উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাফিজুলের বাবার কথায়, বউয়ের সঙ্গে ঝামেলার পরের দিনই নবান্নে হাজির হয় সে। তারপর সেখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারপরেও সম্বিত ফেরেনি। সে পৌঁছে যায় কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সকলের চোখ এড়িয়ে ঢুকে পড়ে বাসভবনে।
শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে বাসভবনে প্রবেশ করে হাসনাবাদের হাফিজুল মোল্লা। সারা রাত সে লুকিয়ে ছিল গাড়ির পিছনে। সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার জামার ভিতর থেকে লোহার রড পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও নবান্নের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
হাফিজুলের বাবা জানিয়েছেন, মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ওর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু যখন তখন যেখানে খুশি চলে যায়। কিন্তু হাসনাবাদ থেকে হাওড়ায় বা কালীঘাটে এল কী করে? তার উত্তরে হাফিজুলের বাবা জানান, সে তো হাওড়ায় গাড়ি চালায়। সেই সূত্রেই হাওড়ায় এসেছে। কিন্তু এইরকম মানসিক বিকার নিয়ে কী করে হাফিজুল গাড়ি চালাত, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।