কারমেল স্কুলে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই, দেখুন ভিডিও
জিডি বিড়লার পর ফের নামী স্কুলে খুদে পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আর এই অভিযোগকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে দেশপ্রিয় পার্কের কারমেল স্কুলের জুনিয়ার বিভাগ।

এদিন সকাল থেকেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জমায়েত হন কারমেল স্কুলের সামনে। এরপর তাঁরা মিলিতভাবে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করতে চায়নি। এমনকী, যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন পানকেও অভিভাবকদের সামনে আনতে অস্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন এমন খবর পেয়ে পুলিশও আগাম স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল।

পুলিশই শেষমেষ ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানাতে থাকেন। কিন্তু, অভিভাবকরা সাফ জানিয়ে দেন অভিযুক্ত শিক্ষককে তাঁদের সামনে আনতে হবে। কিন্তু, পুলিশ বা স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন প্রস্তাবে সায় দেয়নি।
এরপরে পুলিশ মাথা ঢেকে অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন পানকে বাইরে বের করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিভাবকরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকী, অভিযুক্ত শিক্ষককেও কোনও কোনও অভিভাবক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ সৌমেন রানাকে লক্ষ করে কিল-চড় ও লাথি মারতে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি বেঁধে যায় অভিভাবকদের। এক অভিভাবকের ছোড়া হেলমেটে মাথায় আঘাত পান টালিগঞ্জ থানার ওসি। এর ফলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এমনকী, অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন রানাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় বেশকয়েক জন অভিভাবককেও নাকি ওই গাড়িতে তুলে দেওয়া নেওয়া হয়। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির জন্য এই অভিভাবকদের পুলিশে তুলে নিয়ে যায়।