মমতাকে পূ্র্ণ সমর্থন রাজ্যপালের, নেতাজি প্রশ্নে মিলে গেলেন রাজ্যের দুই প্রধান
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ইস্যুতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে সমর্থন করলেন
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ইস্যুতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে সমর্থন করলেন। মঙ্গলবার তিনি নেতাজিভবনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা হওয়া দরকার। নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটির জন্য তিনিও কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখবেন।
আজ মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। এদিন একযোগে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় ছুটির দাবি তুললেন। রেড রোডে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে রাজ্য সরকারের তরফে নেতাজি জয়ন্তী পালন করা হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন নেতাজি জয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি হোক।
আর নেতাজিভবনের অনুষ্ঠানে একই দাবি করেন রাজ্যপাল। তিনিও বলেন, নেতাজির জন্মদিনটি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার জন্য তিনিও চিঠি লিখবেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। আবেদন জানাবেন নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির আওতায় আনতে। এই প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন ভারতের দুই মহামানব স্বামীজি ও নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন সে কথা। এই দাবি বহুদিন আগেই উঠেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবি মেনে নেয়নি।
দুই মনীষীর জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন। কিন্তু সেই চিঠির ফল না মেলায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ভারতের মহামানব দেশের আইকনকে এই সামান্য মর্যাদা দিতে না পারা চরম আবমাননাকর। নেতাজির মতো মহান দেশপ্রেমিকের জন্মদিন কেন জাতীয় ছুটি হবে না, প্রশ্ন তোলেন মমতা। এদিন তিনি রাজ্যপালেরও সমর্থন পেয়ে যান এই দাবিতে।