রাজ্যে কেন অঘোষিত জরুরি অবস্থা? শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মুখ্যসচিবের থেকে জবাব চাইলেন ধনখড়
প্রথমে কাঁথির বাড়িতে পুলিশের ঘেরাও করে রাখা, তারপর বাড়ি থেকে বেরনোর পরে তমলুকের রাধারানির মোড়ে গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধ
প্রথমে কাঁথির বাড়িতে পুলিশের ঘেরাও করে রাখা, তারপর বাড়ি থেকে বেরনোর পরে তমলুকের রাধারানির মোড়ে গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । যার কপি তিনি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও (Jagdeep Dhankhar)। যা নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। রাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে এর জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
|
রাজ্যে কেন অঘোষিত জরুরি অবস্থা?
রাজ্যপাল এদিন মুখ্যসচিবকে পাঠানো বিরোধী দলনেতার চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিবের উদ্দেশে টুইট করে বলেছেন, রাজ্যে কেন অঘোষিত জরুরি অবস্থা। মুখ্যসচিব যেন বিরোধী দলনেতার পাঠানো চিঠি সম্পর্কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেন তার জন্যও তিনি মুখ্যসচিবকে বলেন।
|
বিকেল ৪ টে পর্যন্ত সময়
অপর একটি টুইটে রাজ্যপাল তাঁকে পাঠানো শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি টুইট করে মুখ্যসচিবকে জবাব দিতে বিকেল চারটে পর্যন্ত সময় দেন। শুভেন্দু অধিকারীকে পুলিশ দিয়ে ঘেরা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তবে বিকেল ৪ টে পেরিয়ে গেলেও মুখ্যসচিব এব্যাপারে জবাব দিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। কেননা এর আগে মুখ্যসচিবকে রাজ্যপাল যখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তলব করেছিলেন, সেই সময় তিনি রাজভবনে হাজিরা দেননি।
হাওড়ায় যেতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী
এদিন শেষ পর্যন্ত হাওড়ায় যেতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খানিকটা শনিবারের মতো। তবে শনিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তিনি রবিবার যাবেন হাওড়ায়। শুভেন্দু অধিকারীর হাওড়ায় যাওয়া আটকাতে শনিবার রাত থেকেই কাঁথি থানা তৎপরতা শুরু করে। শুভেন্দু অধিকারী যাতে হাওড়ায় না যান, তার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। রাতেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কাঁথির শান্তিকুঞ্জ। দিন সকালে শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে যান ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার বাড়িতে তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখান থেকে বেরিয়ে তমলুকের রাধারানির মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদ করে বিরোধী দলনেতার। পরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
পুলিশের ভয় কিসের?
শনিবার তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি হাওড়ায়। এদিন যেতে দেওয়া হল না রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। যা নিয়ে এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, যদি সত্যিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে,তবে কেন এদিন বিরোধী দলনেতাকে হাওড়ায় যেতে দেওয়া হল না। তিনি প্রশ্ন করেন পুলিশের ভয় কিসে, কেই বা তাঁরা আটকাচ্ছেন বিরোধী দলনেতাকে?