রাজধর্ম পালনের পরামর্শ রাজ্যপালের, পার্থ বললেন, রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে বিজেপি
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ফের রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারে সংঘাত চরমে পৌঁছল।
কলকাতা, ৫ জানুয়ারি : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ফের রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারে সংঘাত চরমে পৌঁছল। সেনা বিতর্কের পর আবারও রাজ্যপালকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপির অফিসে তৃণমূলের হামলা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সরব হন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। কারণ রাজ্য সরকারের হাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়দায়িত্ব। তাই রাজ্য সরকারের উচিত এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা।
রোজভ্যালিকাণ্ডে চারদিনের ব্যবধানে দুই সাংসদ গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্যে একাধিক বিজেপি অফিস হামলা চলে। বিশেষ করে তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। তৃণমূলের টার্গেট হয়ে ওঠে বিজেপির রাজ্য পার্টি অফিস।
পরদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে কৃষ্ণা ভট্টাচার্য-সহ বহু বিজেপি নেতানেত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন অনেক নেতা-নেত্রী। বিজেপি পতাকা পোড়ানো হয়। দাহ করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা।
বুধবার বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। প্রত্যেকেই তাঁদের মত তুলে ধরে। এরপর বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সরব হওয়ার পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়। রাজ্যপাল রাজধর্ম পালনের বার্তা দেন রাজ্য সরকারকে।
রাজ্যপালের এই পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ বললেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত। রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এটা মোটেই সঙ্গত নয়। বিজেপি কর্মী হিসেবে রাজ্যপালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তা করছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।