বানভাসি রাজ্যে মাত্র তিন জেলা বন্যা কবলিত, কোন অঙ্কে এই ঘোষণা
এবার রাজ্যে বন্যায় জলের পরিমাণ এতটাই ছিল যে একতলা বাড়ি ডুবেছিল। বহু পাকা বাড়িও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বন্যার করাল গ্রাসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও মাত্রাছাড়া।
রাজ্যজুড়ে বানভাসি পরিস্থিতিতে মাত্র তিন জেলাকে বন্যা কবলিত বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নে সচিব পর্যায়ের এক বৈঠকের পর হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরকে বন্যা কবলিত জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ১ ও পূর্ব বর্ধমানের রায়না ব্লককেও বন্যা কবলিত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
এদিন নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। সমস্ত জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন তিনি। তারপর তিনি তিন জেলা ও দুই ব্লককে বন্যাবিধ্বস্ত বলে ঘোষণা করেন।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে ইতিমধ্যেই। অন্য জেলাগুলির ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও বন্যা কবলিত হিসেবে ঘোষণা করা হল না কেন? বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতিও সংঘাতিক রূপ নিয়েছিল এবারের বন্যায়। ভেসে গিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। তা সত্ত্বেও বন্যা কবলিত হিসেবে চিহ্নিত হল না এই জেলাগুলি।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব মলয় দে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় সাংঘাতিক রূপ নেয় এবারের বন্যা।
বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ঘাটালে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, সেনা কপ্টার নামিয়ে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করতে হয়।
এবার জলের পরিমাণ এতটাই ছিল যে একতলা বাড়ি জলে ডুবেছিল। বহু পাকা বাড়িও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বন্যার করাল গ্রাসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও মাত্রাছাড়া। সেই পরিমাণ চূড়ান্ত করতেই জেলাশাসকের কাছ থেকে বন্যার সামগ্রিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।