সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোমগুলিই শিশু পাচারের আখড়া, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নজরদারি
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোমগুলিই শিশু পাচারের আখড়া। উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে শুরু হল নিয়মিত নজরদারি।
কলকাতা, ২৯ নভেম্বর : সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোমগুলিই শিশু পাচারের আখড়া। এই সত্য প্রকাশ হতেই উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসল। তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে সিআইডিকে কড়া হাতে ব্যাটন ধরতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নার্সিংহোমগুলির ভূমিকা নিয়েও উঠে পড়ল প্রশ্ন। এই জাল কাটতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে হোম, নার্সিংহোম ও এনজিওগুলিতে শুরু হল নিয়মিত নজরদারি।
শুধু কলকাতা বা শহরতলি নয়, শিশুপাচারের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। এবার বর্ধমানে এক নার্সিংহোমের আড়ালে শিশু পাচারের জাল ধরা পড়েছে। শিশু পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে আয়া। গ্রেফতার করা হয়েছে নার্সিংহোম মালিক ও আরও এক আয়াকে।
তিনজনেরই পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নার্সিংহোমের ম্যানেজারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তভারও নিয়েছে সিআইডি। সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে অনেক নামী চিকিৎসকের নামও।
সোমবার লখনউ উড়ে যাওয়ার আগে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও সমাজকল্যাণ দফতরের সচিবের সঙ্গে। সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই দফতরকেই নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিআইডিকেও নির্দেশ দিয়েছেন, যার বিরুদ্ধেই শিশু পাচারের অভিযোগ উঠুক, তদন্তসাপেক্ষে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যেন দ্বিধা না করা হয়।
উল্লেখ্য, বেশ সপ্তাহকাল ধরে শিশু পাচারকাণ্ডে রাজ্যে একের পর এক হোম, নার্সিংহোমের নাম জড়াচ্ছে। তা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরাও। সোমবারই প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। তারপরই রাজ্যজুড়ে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।