সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছে মোর্চা, পাহাড় বনধও তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত
শুক্রবার গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা জিএমসিসি-র বৈঠকে স্থির হয়, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেলেই তারা সর্বদলে যোগ দেবেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মতবদল।
নবান্নে পাহাড়-বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন বিনয় গুরুং-সহ পাঁচ মোর্চা নেতা। শনিবারই মোর্চার তরফ থেকে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যপারে সম্মতি জানিয়ে দেওয়া হল। প্রথমে মোর্চার তরফে বলা হয়েছিল ২৭ আগস্ট জিএমসিসি বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু একদিন আগেই মোর্চা বৈঠকে যোগ দেবে বলে নিশ্চিত করল। সেইসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়ে রাখল রবিবারের বৈঠকে তারা পাহাড় বন্ধ তুলে নিতে পারে।
[আরও পড়ুন:মোর্চা সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবে, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
শুক্রবার গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা জিএমসিসি-র বৈঠকে স্থির হয়, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেলেই তারা সর্বদলে যোগ দেবেন। আর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই রবিবার ফের বৈঠক ডাকা হয় জিএমসিসি-র। অবশ্য তার আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল মোর্চা। মোর্চা এবার আলোচনা করতে চাইছে পাহাড়ের অনির্দিষ্টকালীন বনধ নিয়ে। মোর্চা চাইছে পাহাড়ের বনধ তুলে নিতে। জিএমসিসি-র বৈঠকে সর্বসম্মতভাবেই এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। সার্বিকভাবেই পাহাড় ফের শান্তির পথে ফিরতে চলেছে, এই আভাস রইলই মোর্চার কথায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আশা ব্যক্ত করেছিলেন, সর্বদলে মোর্চা যোগ দেবে। মোর্চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং-এর নেতৃত্বেই যে মোর্চা ২৯ আগস্ট নবান্নে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন এ ব্যপারে নিশ্চিত ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিই সত্যি হল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, অবশেষ মোর্চা নতি স্বীকার করল পাহাড় আন্দোলনে। এবার নবান্নে সর্বদল বৈঠক থেকেই পাহাড়কে শান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার অপেক্ষা।