যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে জোর করে টেনে এনে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, মারধর
অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দশ জন ছাত্র মিলে এক ছাত্রীকে টেনে হিঁচড়ে ছেলেদের হস্টেলে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। এই ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি কোনও। উল্টে ছাত্রীর বাবাকে ডেকে কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের হয়ে সালিশির চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
পুলিশসূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি গত ২৮ অগস্ট ঘটেছে। অভিযুক্ত ছাত্রেরা কলা বিভাগের। ছাত্রীও কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠরতা। সল্টলেকে বাড়ি তাঁর। ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে পীড়িতা জানিয়েছেন সন্ধ্যে আটটা নাগাদ তিনি তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময় আচমকাই একদল ছেলে এগিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র হওয়ার সূত্রে বেশিরভাগেরই মুখ চেনা। কিন্তু কারোর সঙ্গেই পরিচয় ছিল না বলে জানিয়েছেন ছাত্রী। এর তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে টানতে টানতে জোর করে ওল্ড পিজি হস্টেলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর বন্ধুকে হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তারপর তাঁকে হস্টেলের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় তার পর তার শ্লীলতাহানিও করা হয়। যাতে কারোর সঙ্গে ওই ছাত্রী যোগাযোগ করতে না পারে তার জন্য তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রী মঙ্গলবার ৮ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা), ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি), ৩২৩ (মারধর) ও ১১৪ (ঘটনাস্থলে থেকে অপরাধে উৎসাহদান) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।