সাইবার জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃতদের জেরা জার্মান পুলিশের, কী তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা
বছর খানেক আগে সল্টলেকে একটি কল সেন্টার খুলে এই প্রতারণার কারবার শুরু হয়। অনলাইন প্রতারণা চক্রের মাস্টারমাইন্ড ছিল রিচা পিপলওয়া নামে এক তরুণী।
সল্টলেকে অনলাইন প্রতারণা চক্রে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে নয়া তথ্য পেল জার্মান পুলিশ। শুধু জার্মানিতেই নয়, এই অনলাইন প্রতারণা চক্র জার্মানি, সুইডেন, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করত। প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা আয় হত এই চক্রের।
বছর খানেক আগে সল্টলেকে একটি কল সেন্টার খুলে এই প্রতারণার কারবার শুরু হয়। অনলাইন প্রতারণা চক্রের মাস্টারমাইন্ড ছিল রিচা পিপলওয়া নামে এক তরুণী। সাইবার ক্রাইমের এই অভিযোগ পেয়ে সিআইডি মাস্টারমাইন্ড রিচা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করতে শহরে পৌঁছেছে জার্মান পুলিশ। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রবিবার রাতেই কলকাতায় হাজির হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন সরকারি আইনজীবীও। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে জার্মানি নিয়ে যেতে পারে জার্মান পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।
অভিযোগ, এক জার্মান নাগরিকের কাছ থেকে কয়েক কোটির বিদেশি মুদ্রা হাতায় নিউটাউনের ওই সংস্থা। সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে মু্দ্রা হাতানো হয় বলে অভিযোগ। গত মে মাসে ইন্টারপোলের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জার্মান পুলিশ। সেইমতো তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ।
এরপর জুন মাসে নিউটাউনের অফিসে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। অভিযুক্ত রিচা পিপলবা, বিক্রমজিৎ পান্ধের, আকাশ সিং, নীলেশ রাস্তোগি ও শুভ্রজিৎ পালকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। ধৃতরা প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিদেশি মুদ্রা হাতিয়ে নিত।
এদিনই জার্মান পুলিশের তিন সদস্যের টিম জেরা করে ধৃতদের। সোমবার ভবানীভবনে এডিজি সিআইডি রাজেশ কুমারের সঙ্গে দেখাও করে জার্মান পুলিশের আধিকারিক হ্যানোভারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।