জিডি বিড়লা-র ছায়া, কারমেলে ক্লাস টু-এর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, দেখুন ভিডিও
জিডি বিড়লাকাণ্ডের রেশ এখনও মেলায়নি। তারমধ্যে ফের শিশু পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির ঘটনা। এবার এই ঘটনা কলকাতারই আরএক নামী মিশনারি স্কুল কারমেলে। এর প্রাথমিক বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ডান্স টিচার। এই মুহর্তে অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল স্কুল চত্বর।

বেশ কয়েক মাস ধরেই অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন রানা দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক ধরেই ওই ছাত্রী স্কুলে আসতে চাইছিল না বলে দাবি বাবা-মা-এর। ছাত্রীটির বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। ছাত্রীটির মা নানাভাবে জানার চেষ্টা করেন স্কুলে কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না। শেষমেশ ছাত্রীটি জানায় স্কুলের ডান্স টিচার জোর করে তাকে আদর করে। কিন্তু, শিক্ষকের এই আচরণ তার ভালো লাগে না বলেও মা-কে নাকি জানায় ওই ছাত্রী। এমনকী ছাত্রীটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষক নাকি তাকে ভয় দেখায় বলেও অভিযোগ। আদর করতে না দিলে ওই ছাত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও নাকি হুমকি দিত ওই শিক্ষক সৌমেন রানা।
দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য ছাত্রীদের সামনেই ওই ছাত্রীকে নাকি জোর করে কোলে বসিয়ে রাখত অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন রানা। এমনকী, ছাত্রীটির চশমাও নাকি নানা সময়ে কেড়ে নিত ওই শিক্ষক। দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য ছাত্রীরাও এইসব ঘটনার সাক্ষী বলে দাবি অভিভাবকদের।
অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন রানার গ্রেফতারেরর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তাপ ছড়াতে থাকে দেশপ্রিয় পার্কে কারমেলের জুনিয়ার সেকশন স্কুলে। একে একে অভিভাবকরা জমায়েত হতে থাকেন স্কুলের সামনে। যদিও, এই ঘটনায় সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের দাবি ছিল অভিযুক্ত শিক্ষককে সামনে আনার। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সামনে আনেনি। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমেন রানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে চলে যায়।
পরে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ পকসো আইনে গ্রেফতার করে। টালিগঞ্জ থানায় শিক্ষক সৌমেন রানার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা-মা।