প্রেমিক বেরনোর কিছুক্ষণ পরেই ঘর থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ! পুলিশের জালে অভিযুক্ত
গরফার বিবেকনগরে তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (unnatural death)। রবিবার প্রেমিক পঙ্কজ দাস (pankaj das) গিয়েছিলেন প্রেমিকার বাড়িতে। তিনি ঘর থেকে বেরনোর পরেই তরুণী সুস্মিতা দাসকে (Sushmita Das) অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক পঙ্কজ দাসকে গ্রেফতার করেছে।

রবিবার প্রেমিকার বাড়িতে যায় পঙ্কজ
রবিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ গরফার বিবেকনগরে প্রেমিকা সুস্মিতা দাসের বাড়িতে যায় হাবড়ার বাসিন্দা পঙ্কজ দাস। তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় ১০ বছরের। সম্প্রতি তাঁদের বিয়েও ঠিক হয়েছিল বলে জানিয়েছে সুস্মিতার পরিবার। শুরু হয়েছিল কেনা কাটাও। দুপুরে প্রেমিকার বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করে। এরপর একই ঘরে ছিল তাঁরা। এরপর বিকেল ৪ টে নাগাদ পঙ্কজ দাস বেরিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে সুস্মিতার পরিবার সূত্রে।

অচৈতন্য সুস্মিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে
বাড়ির লোকের কোনও সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢোকেন। সেই সময় সুস্মিতার অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেই সময় মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া ছাড়াও ঠোঁটের ওপরে কালো দাগ ছিল। বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রেমিকার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
এদিকে যুবতীর পরিবারের তরফে ছেতে পঙ্কজ দাসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় গরফা থানায়। এরপরেই পুলিশ পঙ্কজকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অনুমান বালিশ চাপা দিয়ে কিংবা কোনও কিছু খাইয়ে সুস্মিতাকে মারা হতে পারে। অভিযোগ ঘটনার পরে বারে বারে ফোন করা হলেও সাড়া দেওনি পঙ্কজ। তবে বাঙুর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ, মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

পিছনে রয়েছে সম্পত্তিগত বিবাদ
তবে তরুণীর পরিবার সূত্রে এই মৃত্যুর পিছনে সম্পত্তিগত বিবাদের কথা উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি তরুণীর মা ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাকে। পুলিশ পুরো বিষয়টির ওপরে নজর রাখছে। এই মুহূর্তে বয়ান রেকর্ডের কাজ চলছে। এদিন আদালতে হাজির করে পঙ্কজকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
এক বছর পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রে ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়! 'শেকড় হীন' তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের