গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিতে ঘাটতি! প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন নির্বাচনে
কলকাতা তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিতে ঘাটতি দিয়ে শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বর। গড় বৃষ্টিপাতের থেকে এবছরে সেপ্টেম্বরে ২৮% কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫%-এ।
কলকাতা তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিতে ঘাটতি দিয়ে শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বর। গড় বৃষ্টিপাতের থেকে এবছরে সেপ্টেম্বরে ২৮% কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫%-এ। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এই ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২০%। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৩৫ %। বর্ষার দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে যাওয়াতেই এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃষ্টিপাতে ঘাটতি
এবছরের অগাস্টে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ২০%। যদিও সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিতে এই ঘাটতি প্রায় পূরণ হয়ে গিয়েছে। বাসের প্রথম ১২ দিনে শহরে ২৫% বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মাসের দ্বিতীয়ার্ধে তার প্রভাব পড়ে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে ওড়িশা উপকূলে। সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের এর প্রভাব পড়ে। এই সময়ে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কিন্তু কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে বাকি জেলাগুলিতে সেরকম বৃষ্টি হয়নি।
প্রভাব যেসব জেলায়
কলকাতা আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বৃষ্টিকে স্বাভাবিক বলা যেতে পারে। কিন্তু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই বেশি। বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টিপাত হয়েছে কম। বিশেষ করে ঘাটতি দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বরে।
মৌসুমী বায়ু ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় দয়া ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব কলকাতা কিংবা দক্ষিণবঙ্গে পড়েনি। দয়ার প্রভাবে বৃষ্টি হলে, অবস্থার পরিবর্তন হতে পারত বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব থাকতে পারে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হতেই পারে। ১০ অক্টোবরে পর থেকে মৌসুমী বায়ু রাজ্য থেকে আস্তে আস্তে বিদায় নেবে।
ফসল কম হওয়ার আশঙ্কা
বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে শস্যের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই ঘটনা ভোটের রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।