মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে প্রতারণা অভিযোগ! গোপন চক্রের হদিস পেল পুলিশ
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে প্রতারণা অভিযোগ! গোপন চক্রের হদিস পেল পুলিশ
কলকাতার এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা অভিযোগে একটি প্রতারণা চক্রের হদিস পেল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই জালিয়াতি চক্রের মূল চক্রী এক মহিলা। অল্প কয়েকদিন আগেই অর্পিতা ঘোষ নামে ওই মহিলা কলকাতার এক মঠের সন্ন্যাসীদের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল।
এবার তার বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নাম করে ৬০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নতুন এই প্রতারণার মামলায় অর্পিতার সঙ্গে তার স্বামী স্টিফেন বার্নার্ড ও তার এক সঙ্গী বেবি সিমরন ওরফে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০১৮-য় এই ঘটনার শুরু। তপসিয়ার বাসিন্দা এক ছাত্রকে ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা দেন। মেধা তালিকায় তার নাম ছিল এক লাখের উপর। যদিও এই রাজ্যের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। ওই ছাত্রের বাবা তার এক পরিচিতকে বিষয়টি জানান। তিলজলার বাসিন্দা অর্পিতার সঙ্গে অভিযোগকারীর পরিচয় হয়।
অর্পিতা নিজেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। তিনি জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর বিশেষ যোগ আছে। তিনি চাইলে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে তাঁর ছেলেকে ভর্তি করে দেবেন।
এমনকি স্কলারশিপের ব্যবস্থাও করে দেবেন। যার ফলে পড়ার খরচ অনেক কম হবে। কিন্তু ভর্তির জন্য লাগবে ৬০ লাখ টাকা। অভিযোগ, অর্পিতার ওই প্রস্তাব মেনে ওই ব্যক্তি তাঁর জমি ও স্ত্রীর সমস্ত গয়না বিক্রি করে অর্পিতাকে ৬০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু টাকা দিলেও ক্লাস করতে পারেননি অভিযোগকারী ছাত্র। এরপর ওই ছাত্র অর্পিতার কাছ থেকে টাকা ফেরত চান।
অর্পিতা ও তাঁর স্বামী টাকা ফেরত দিতে একটি চুক্তিপত্র তৈরি করেন। ওই ছাত্রকে একটি চেক দেন অর্পিতা। কিন্তু সেই চেক জমা দেওয়ার পরে বাউন্স করে বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্র অর্পিতার বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ জানান।
বিদ্রোহে ইতি টানতেই বিরাট পুরস্কার শতাব্দীকে, তৃণমূলের রদবদলে মিলল বড় পদ