পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ ফের প্রশ্নের মুখে, বাহিনী-বিতর্কে শুরু সুরক্ষা তরজা
দীর্ঘ বিতর্কের পর পঞ্চায়েত ভোটের নয়া নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে রাজ্যে। তা সত্ত্বেও ঝঞ্ঝাট-মুক্ত নয় এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখনও বাহিনী সংকটে পঞ্চায়েত ভোটের-ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
দীর্ঘ বিতর্কের পর পঞ্চায়েত ভোটের নয়া নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে রাজ্যে। তা সত্ত্বেও ঝঞ্ঝাট-মুক্ত নয় এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখনও বাহিনী সংকটে পঞ্চায়েত ভোটের-ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সুরক্ষা প্রশ্নে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্য ও কমিশন বুথ-সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালতও।
সোমবার রাজ্য সরকার বাহিনী সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার পরই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যতের ব্যাপারে। রাজ্য যদি পর্যাপ্ত বাহিনীর চিত্র না দেখাতে পারে হাইকোর্টে, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও প্রশ্নচিহ্ন পড়তে পারে। তবে রাজ্য চাইছে পঞ্চায়েত ভোটে আর যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে। সেই কারণে আটঘাট বেঁধেই লড়াইয়ে নামছে রাজ্য সরকারে। কমিশন আপাতত রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেই ক্ষান্ত।
তবে এদিন সুরক্ষা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশনও। তারা কি বিরোধীদের সঙ্গে আদৌ আলোচনা করেছিল। নাকি একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা জানতে চেয়ে কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। কমিশন তিনদিন টালবাহানার পর রাজ্যের প্রস্তাবকে সিলমোহর দিয়ে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছে। তাতেই সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
আর
এই
সুরক্ষা
প্রশ্নে
প্রধান
সমস্যা
রাজ্যের
হাতে
নেই
পর্যাপ্ত
বাহিনী।
সাকুল্যে
রাজ্যের
হাতে
রয়েছে।
৫৮
হাজার
বাহিনী।
তার
মধ্যে
বন্দুকধারী
৪৬
হাজার
আর
লাঠিধারী
১২
হাজার।
এই
পরিস্থিতিতে
৫৮
হাজার
৪৬৭
বুথে
কী
করে
সুরক্ষা
দেওয়া
সম্ভব?
সাধারণ
নিয়মেই
একটি
স্পর্শকাতর
বুথে
দুজন
বন্দুকধারী
ও
দুজন
লাঠিধারী
পুলিশ
রাখা
বাঞ্ছনীয়।
আর
কম
স্পর্শকাতর
বুথে
দুজন
বন্দুকধারী
ও
একজন
লাঠিধারি
পুলিশ।
আর
অন্যান্য
বুথে
একজন
বন্দুকধারী
ও
একজন
লাঠিধারী
পুলিশ
রাখতে
হবে।
সেই
নিরিখে
রাজ্যের
হাতে
পুলিশ
পর্যাপ্ত
নয়।
তাহলে কী করে সম্ভব সুরক্ষা দেওয়া? এই পরিসংখ্যান শোনার পর হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য ও কমিশনকে হলফনামা আকারে জানাতে হবে, বুথগুলিতে সুরক্ষা দিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য ও কমিশনকে এই হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের ভোটের আগেই খুশির খবর সরকারি কর্মীদের, সঙ্গে ভোগান্তিরও আশঙ্কা জনমানসে]