নেতাজির চিতাভস্মের ডিএনএ টেস্ট আদৌ কি সম্ভব! সরকার কি জানে 'আসল' ঘটনা, নতুন বই-এ তথ্য
দেশের প্রথম জওহরলাল নেহরু সরকার থেকে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী, প্রত্যেক প্রশাসনই নেতাজির অন্তর্ধান প্রসঙ্গে জানেন, তবুও তাঁর চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি। এমনটাই মন্তব্য প্রপ্রৌত্রের।
দেশের প্রথম জওহরলাল নেহরু সরকার থেকে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী, প্রত্যেক প্রশাসনই নেতাজির অন্তর্ধান প্রসঙ্গে জানেন, তবুও তাঁর চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি। এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রপৌত্র লেখক আশিস রায়।
বিভিন্ন সরকারের তরফে থেকেও নেতাজির বর্ধিত পরিবার এবং যে সব রাজনৈতিক দল টোকিওর রণকোজি মন্দির থেকে জাতীয় নেতার চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার খুবই কম চেষ্টা করেছে। এমনটাই বলেছেন আশিস রায়।
সব থেকে বড় প্রশ্ন কখন এবং কীভাবে দেশ বরেণ্য এই নেতার মৃত্যু হয়েছিল, সেটাই রহস্যের। নিজেই বই 'লেইড টু রেস্ট: দ্য কন্ট্রোভার্সি ওভার সুভাষচন্দ্র বোসেস ডেথ'-এ সেই সবেরই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বই-এ এগারোটি তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শেষে বলা হয়েছে তাইপে-তে বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
টোকিও-র রণকোজি মন্দিরে চিতাভস্ম রাখার জন্য ভারত সরকারকে টাকাও দিতে হয়। যদিও নেতাজির বর্ধিত পরিবারের একটি অংশ এবং কিছু রাজনৈতিক দল এই চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার বিরোধিতা করছে। তবে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেই এই বিরোধিতাকারীদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এবং তাঁর বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার একটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের সেই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ হয়নি।
মর্যাদা দেওয়া হয়নি নেতাজির স্ত্রী কিংবা কন্যার কথারও।
প্রপ্রৌত্র আশিস রায় বলেছেন, তিনি জাপানের সামরিক হাসপাতাল যেখানে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তানিওসি ওসিমির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। নেতাজির সহযোগী কর্ণেল হাবিবুর রহমানের পুত্র নাইমুর রহমানের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি কথা বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া জাপানের সামরিক অফিসার ক্যাপ্টেন কেইকিচি আরাই-এর পুত্র উকিচি আরাই-এর সঙ্গেও।
চিতাভস্ম আদৌ নেতাজির কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করেছিলেন নেতাজির স্ত্রী । যদিও জাপান কিংবা ভারত সরকারের তরফ থেকে সেই ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে বই-এ লিখেছেন নেতাজির স্ত্রী।