বনগাঁয় চার পর্যবেক্ষক, সব বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও
কলকাতা, ২২ জানুয়ারি: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বনগাঁতে বিস্তর রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির লোকসভা উপনির্বাচনে তাই কোনও খামতি রাখতে নারাজ ভোটকর্তারা। সব বুথে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে, তেমনই বাড়ানো হচ্ছে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হরিশঙ্কর ব্রহ্ম জানিয়েছেন, অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট করতেই এই ব্যবস্থা।
২০১৪-র লোকসভা ভোটে বনগাঁ আসনে জিতেছিলেন তৃণমূলের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁর প্রয়াণে আসটি শূন্য হয়। এ বার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন কপিলকৃষ্ণের স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুব্রত ঠাকুর। এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির আশঙ্কা, মাটি হারানোর ভয়ে ভোটে যথেচ্ছ রিগিং চালাতে পারে তৃণমূল। তাই তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েছে ভোট কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, এ বার বনগাঁ কেন্দ্রে পাঠানো হবে চারজন পর্যবেক্ষককে। গতবার এই সংখ্যা ছিল দুই। যে চারজন আসছেন, তাঁরা হলেন সি বি সিং, দিগ্বিজয় সিং, কে শিবপ্রসাদ এবং অভয়কুমার। চারজনই আইএএস অফিসার। প্রসঙ্গত, বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত হল সাতটি বিধানসভা আসন। এইগুলি হল যথাক্রমে বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, কল্যাণী, হরিণঘাটা, গাইঘাটা, স্বরূপনগর এবং বাগদা। একেক জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে নজরদারি চালাবেন।
পাশাপাশি, বনগাঁর সব বুথে থাকবে সিআরপিএফ এবং বিএসএফ। বুথের বাইরের এলাকায় টহলদারির দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ থাকলেও বুথের ভিতরে তাদের ট্যাঁ-ফোঁ করতে দেবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ছয় থেকে আটজন জওয়ানকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মোতায়েন করা হবে।
একই মডেল অনুসরণ করা হবে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা আসনেও।