সোদপুরের ইঞ্জিনিয়ার 'খুনে' রহস্য! গ্রেফতার বন্ধু-সহ ৪
সোদপুরের ইঞ্জিনিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু-সহ চার। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
সোদপুরের ইঞ্জিনিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু-সহ চার। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাড়ি থেকে অফিসের কাজে বেরনোর কথা বলেও কী করতে সহকর্মীকে নিয়ে গাইঘাটায় গেলেন অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় তা নিয়েও প্রশ্ন জাগছে তদন্তকারীদের মনে।
সোদপুরের বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাটারি প্রস্তুতকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় সোমবার অফিসে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু চলে যান গাইঘাটায়। অর্ঘ্য-র বন্ধুদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার পশ্চিম সোনাটিকারীর নির্জন জায়গায় পুকুর পাড়ে বসে দুপুরে মদ্যপান করেন। বিকেলে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সন্দেহ হাওয়ায় হাসপাতালের কর্মীরা তিনজনকেই বসিয়ে রাখেন। খবর দেওয়ার পর বনগাঁ থানার পুলিশ গিয়ে তিনজনকে আটক করে। গাইঘাটা থানাতেও খবর দেওয়া হয়। পরে তিনজনকে তুলে দেওয়া হয় গাইঘাটা থানার পুলিশের হাতে। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনজন-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অর্ঘ্য সাঁতার জানতেন।
ধৃতদের মধ্যে সহকর্মী ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও রয়েছেন, গাড়ির চালক ও তাঁর দুই পরিচিত। গাড়ির চালকের আত্মীয়ের বাড়ি গোপালনগরে বলে জানা গিয়েছে। তিনিই মদ্যপানের জন্য এই নির্জন পুকুর পাড়ে বেছে দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত চারজন জানিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন। এরপর অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় স্নান করার জন্য ওই পুকুরে নেমেছিলেন। সেই সময় তিনি তলিয়ে যান। চেঁচামেচিতে গ্রামবাসীরা অর্ঘ্যকে পুকুর থেকে তোলেন। পরে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুজন পুকুরে নেমেছিলেন। কেন দুজন পুকুরে নেমেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।