করোনা কালে দুর্গাপুজো নিয়ে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি! হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব
করোনা কালে দুর্গাপুজো (durga puja) নিয়ে হাইকোর্টের (high court) রায়ের ফলে পুজো উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন। সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আদালতের রায়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে যান তারা।
করোনা কালে দুর্গাপুজো (durga puja) নিয়ে হাইকোর্টের (high court) রায়ের ফলে পুজো উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন। সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আদালতের রায়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে যান তারা। এরপরেই বৈঠকে বসে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে। এই মামলায় ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজো অনুদানেও রয়েছে তৃণমূলের কাটমানি! বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু
জনস্বার্থে প্যান্ডেলে নোএন্ট্রি জোন, বলেছিল হাইকোর্ট
করোনা পরিস্থিতিতে পুজো নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রতিটি মণ্ডপে ব্যারিকেড করে নো এন্ট্রি জোন, বাফার জোন, প্যান্ডেল এরিয়া তৈরি করতে হবে। প্রত্যেকটি প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি জোন তৈরি করা মাস্ট। ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে দর্শকদের থেকে ৫ মিটার এবং বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। প্রয়োজনে ভার্চুয়াল কভারেজের আদেশও দেয় হাইকোর্ট। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের নাম আগে থেকে জানানোর নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট।
দর্শকদের জন্য মণ্ডপের দরজা বন্ধ
যদিও হাইকোর্টের রায়ের আগেই পুজোর মণ্ডপ সাধারণ দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওযার কথা জানিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, বেহালার দেবদারু ফটকের মতো পুজো সংগঠনগুলি। সোমবারের রায়ের পর তারা সেই রায়কে স্বাগতও জানায়। তাদের স্লোগান এবার পুজোটা হোক পাড়ার, এবছরের পুজোটা হোক একাত্মতার।
করণীয় ঠিক করতে রাতেই আলোচনা
হাইকোর্টের রায়ের পর করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। সেখানেই ঠিক করা হয় হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনায় রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে। কেননা এত কম সময়ে মণ্ডপ দর্শন শূন্য করার ব্যবস্থা তাদের জানা নেই। অনেক পুজো সংগঠক আবার ঠিক করে নেন, বড় এলইডি স্ক্রিন বসানোর ব্যাপারে।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আঘাত
হাইকোর্টের রায়ের পর ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেছিলেন হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে তারা আঘাত পেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত আরও বাস্তবোচিত হলে ভাল হত। যদিও সোমবার দিনে রায়ের পর রাতে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ভেঙে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়।
হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে মঙ্গলবারেই হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই আবেদন জানানো হচ্ছে। তাড়াতাড়ি শুনানির জন্যও আবেদন জানানোর পালা চলছে।