২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদে নামবেন যাদবপুরের প্রাক্তনীরা
আরও
পড়ুন:
পড়ুয়াদের
ন্যায্য
প্রতিবাদে
গায়ে
ফোসকা,
'নেশাখোরদের
আন্দোলন'
বলল
তৃণমূল
আরও
পড়ুন:
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পোস্ট
ঘিরে
ফেসবুকে
ঝড়,
সরব
আমআদমি
আরও
পড়ুন:
সিপিএম,
বিজেপি
নয়,
তৃণমূলের
'দুশমন'
এখন
যাদবপুরের
পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
যাদবপুর-কাণ্ডের
ঢেউ
মুম্বই,
দিল্লি,
ব্যাঙ্গালোরে,
পথে
নামলেন
পড়ুয়ারা
পাঁচতারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা ছড়িয়ে আছেন সারা দেশ, সারা বিশ্বে। বিভিন্ন পেশায় যুক্ত এই কৃতীরা ইতিমধ্যে ফেসবুক, টুইটারে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন শহর যেমন দিল্লি, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, রুরকি, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বরে বিক্ষোভ হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের বর্বর হামলার ঘটনা এখন সারা দেশ জেনে গিয়েছে। এ বার আন্তর্জাতিক স্তরে তা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আন্দোলনকারীদের তরফে চিরঞ্জিত ঘোষ জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীরা বিক্ষোভ করবেন। প্রতিবাদ জানাবেন পুলিশের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে। উপাচার্যের পদত্যাগ চাইবেন।
পাশাপাশি, আন্দোলনকারীরা জানান, রাজ্য সরকার যৌন নিগ্রহের তদন্তে যে ছ'জনের কমিটি গঠন করেছে, তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে না। কারণ সবাই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। তাই এই কমিটি গঠনের তাঁরা বিরোধিতা করেছেন। হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদদের নিয়ে তাঁরা একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার মিছিল করে লালবাজার যাবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
আরও দু'টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হল: বুধবার একটি নাগরিক কনভেশনের ডাক হয়েছে যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ থাকবেন এবং বৃহস্পতিবার মিছিল করে লালবাজার যাওয়া হবে।
গতকাল উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে ফুল ও পোস্টার দিয়ে পড়ুয়ারা গান্ধীগিরি করেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তার দায় আজ অস্বীকার করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা বলেন, নানাভাবে আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। এটা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
অন্যদিকে, চাপে পড়ে কিছুটা সুর নরম করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে যে ছাত্ররা জখম হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার খরচ দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। পুলিশ যে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আর্জি জানানো হয়েছে। এমনকী, উপাচার্য নিজেও কথা বলতে আগ্রহী। সুতরাং পড়ুয়াদের উচিত আন্দোলন থেকে সরে এসে ক্লাসে যোগ দেওয়া। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।
ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য বলেছেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আন্দোলন থেকে সরার কোনও প্রশ্নই আসে না।
এদিকে, রেজিস্ট্রারের বক্তব্যের পর নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমত, উপাচার্য বলেছিলেন, পুলিশ মারেনি, ছাত্ররাই মেরেছে। তা হলে তো ছাত্ররা গুরুতর জখম হল কীভাবে? রেজিস্ট্রার কী পরোক্ষে পুলিশি আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করলেন? দ্বিতীয়ত, উপাচার্য তো ক্যাম্পাসেই আসছেন না, তা হলে আলোচনা হবে কী করে?