বিজেপি শিবিরে মোক্ষম আঘাত, আদবানি-ঘনিষ্ঠ চন্দন মিত্রের তৃণমূলে যোগ একুশের মঞ্চে
যাঁকে বঙ্গ বিজেপির মুখ করতে একদিন তৎপর হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেই চন্দন মিত্রই সম্পর্ক ত্যাগ করলেন বিজেপির সঙ্গে। এবং শুধু বিজেপি ত্যাগই নয়, রাতারাতি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে তিনি বার্তা
আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। অবশেষে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। যাঁকে বঙ্গ বিজেপির মুখ করতে একদিন তৎপর হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেই চন্দন মিত্রই সম্পর্ক ত্যাগ করলেন বিজেপির সঙ্গে। এবং শুধু বিজেপি ত্যাগই নয়, রাতারাতি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে তিনি বার্তা দিলেন মোদী-শাহদের।
চন্দন মিত্র বাংলার ময়দানে নেমে রাজনীতি না করলেও, তিনি বিজেপির একটা প্রভাবশালী নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শিক্ষিত, মার্জিত রুচিসম্পন্ন একজন নেতা বলতে যা বোঝায়, তিনি তা-ই ছিলেন। পায়োনিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, যাঁকে রাষ্ট্রপতি স্বয়ং মনোনয়ন দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে, তাঁকে হারাল বিজেপি।
যে বিজেপি রাজ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে, রাজ্যের একজন বিজেপি নেতা, যিনি কেন্দ্রীয় স্তরেও নিজের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, লালকৃষ্ণ আদবানির মতো প্রথম সারির নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, তাঁকে হারানো বিজেপির পক্ষে অবশ্যই বিরাট লোকসান। শুধু দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায়দের কাছেই নয়, মোদী-শাহদের কাছেও এটা ধাক্কার।
এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি বঙ্গ বিজেপির কাছে বড় মেসেজ গেল। মুকুল রায় ছাড়া কোনও বড় নেতাকে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ভাঙিয়ে নিতে না পারলেও, বিজেপির তাবড় নেতাদের তৃণমূল তাঁদের শিবিরে নিয়ে আসছেন। লোকসভার আগে তৃণমূলের পক্ষে, তা সুখকরই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
চন্দন মিত্র দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিষ নজরে ছিলেন। তিনি লালকৃষ্ণ আদবানির অনুগামী বলেই কি মোদী-শাহদের গুডবুকে ছিলেন না। অটলবিহারী বাজপেয়ি-লালকৃষ্ণ আদবানিদের জমানা চলে যাওয়ার পর মোদী শাহদের বৃত্তে চন্দন মিত্রের মতো প্রভাবশালী নেতার স্থান হয়নি। তিনি উপনির্বাচনের একের পর এক হারের জন্য দায়ী করেছিলেন মোদী-শাহদের। তারপরই কোণঠাসা হয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চন্দন মিত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিলেন বিজেপিকেই সবক শেখাতে।