বিজেপি-তে বড় ভাঙন, দল ছাড়ছেন দু’বারের সাংসদ! লোকসভার আগে জোর ধাক্কা
লোকসভার আগেই বিজেপি-তে ভাঙন স্পষ্ট হচ্ছে! দু’বারের সাংসদ চন্দন মিত্র বিজেপি ছাড়তে চলেছেন বলে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
লোকসভার আগেই বিজেপি-তে ভাঙন স্পষ্ট হচ্ছে! দু'বারের সাংসদ চন্দন মিত্র বিজেপি ছাড়তে চলেছেন বলে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। সর্বভারতীয় এক দৈনিকে এই খবর প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে চর্চা। তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এখনও স্পষ্ট নয় অমিত শাহ সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি না।
দু'দফায় রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন চন্দন মিত্র। প্রথমবার ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। পরেরবার ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের থেকে বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন চন্দন মিত্র। তিনি লোকসভায় বিজেপির টিকিটেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষকও।
একটা সময়ে চন্দন মিত্রের নাম রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি হিসেবে উঠে এসেছিল। কিন্তু রাহুল সিনহার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির এই সদস্য বিজেপির সদস্যপদ ত্যাগ করতে চিঠি দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। তার জেরেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক চন্দন মিত্র বঙ্গসন্তান হলেও জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ। তাই আদবানিদের পরবর্তী নেতৃত্বের কাছে তিনি সে অর্থে গুরুত্ব পেতেন না। মোদী-শাহদের কাছে তিনি ছিলেন ব্রাত্যের তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বৃত্তে তাঁর স্থান হয়নি।
সম্প্রতি তিনি বিজেপি-র সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বারবার। উপনির্বাচনে একের পর এক হার, বিশেষ করে কৈরানা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি-র পরাজয়ের পর দলের কৌশল নিয়ে প্রকাশ্যেই তিনি সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, চাষিদের সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়াই বিজেপির ভরাডুবির প্রধান কারণ বলে তাঁর ব্যাখ্যা।
তবে তিনি নিজের দল ছাড়া নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। ফলে দল ছাড়ার পিছনে বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধই কারণ কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। এখন তাঁর মতো হেভিওয়েট বিজেপি নেতার দল ছাড়ার খবরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি কোন দলে যোগ দিতে পারেন, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।