মানুষকে বাদ দিয়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট! রাজ্যের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন সোমনাথের
রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে আগে সরব হয়েছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদল ভোটের আগেই ভোট শেষ করে দেওয়ার খেলায় মাততে চলেছে বলে অভিয়োগ।
রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে আগে সরব হয়েছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বললেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে মানুষকে বাদ দিয়ে। রাজ্যের শাসকদল ভোটের আগেই ভোট শেষ করে দেওয়ার খেলায় মাততে চলেছে। তারই জেরে রাজ্যজুড়ে বহু কেন্দ্রে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
এদিন তাই ফের নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েই ফের প্রশ্ন তুললেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন বিভিন্ন জায়গায় জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্যের বহু জায়গাতেই ভোট হবে না। মানুষ অংশ নিতে পারবেন না গণতন্ত্রের এই উৎসবে। এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না রাজ্যের ক্ষেত্রে।
এদিন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন সোমনাথবাবু। তিনি বলেন, তিন দফার বদলে এক দফায় ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ভোটের দিন নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেনি। কেন নির্বাচন কমিশন এই কাজ করল, তা সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
তার উপর বুথের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও বিতর্কে পড়ে রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন চলে যাওয়ার পরও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আইনি লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এসব হচ্ছে রাজ্য ও কমিশনের একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে। তিনি এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও রাজ্যের আপত্তির সমালোচনা করেন।
সোমনাথবাবু বলেন, রাজ্য সরকার পাঁচটি ভিনরাজ্য থেকে বাহিনী আনতে চিঠি লিখল, অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীতে তাঁদের কেন আপত্তি, তা স্পষ্ট হল না। একদিনে ভোট করতে গেলে বাহিনী সমস্যা তৈরি হতেই পারে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেই তো সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তা না করে রাজ্য সরকার সমস্ত কিছুই জটিল করে তুলছে।