প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র
প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন রাজ্যের প্রথম বামফন্ট্র মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রের জীবনাবসান। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
বুকে সংক্রমণ ও হাড়ের সমস্যা নিয়ে ১ এপ্রিল রবিবার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্রকে। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছিল না।
১ এপ্রিল রবিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তারপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন ভাইপো অরিন্দম মিত্র। আলিপুরের হাসপাতালে ভর্তি করার পর অশোক মিত্রের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল।
অর্থনীতিবিদ হিসেবে কেরিয়ার গড়ার প্রভূত সুযোগ ছিল অশোক মিত্রের সামনে। কিন্তু সব ছেড়ে দিয়ে তিনি বামপন্থাকেই বেছে নেন। মোটা মাইনের কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বেতন বা সম্মান তাঁকে কখনও মোহিত করেনি। পদ ও সম্মান ছেড়েছিলেন বাম আমলেও। জ্যোতি বসুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নীরবে মহাকরণ ছেড়ে চলে যান তিনি। স্বগর্বে তিনি বলতেন, আমি ভদ্রলোক নই, কমিউনিস্ট।
সম্ভবত তিনিই বাংলার প্রথম মন্ত্রী যিনি ধরতে পেরেছিলেন বাংলার চিটফান্ডের আসল রূপ।
প্রায় ১০ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। আলিপুরের বাড়িতে তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল বই আর রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ভক্ত, ছাত্র, পরিচিতরা। বেশ কিছু বইও লিখেছেন তিনি।