ভাগাড় মাংস পাচারকাণ্ডে বামযোগ, পুলিশের জালে বাম কাউন্সিলর
ভাগাড়ের মাংস পাচারকাণ্ডে এবার পুলিশ পেল বাম যোগ। গ্রেফতার করা হল মানিক মুখোপাধ্যায় নামে এক প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরকে। বৃহস্পতিবার রাতে কাঁকিনাড়া থেকে আটক করা হয়েছিল মানিককে।
ভাগাড়ের মাংস পাচারকাণ্ডে এবার পুলিশ পেল বাম যোগ। গ্রেফতার করা হল মানিক মুখোপাধ্যায় নামে এক প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরকে। বৃহস্পতিবার রাতে কাঁকিনাড়া থেকে আটক করা হয়েছিল মানিককে। ষাটোর্ধ্ব মানিক ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গয়েশপুর পুরসভার বাম কাউন্সিলর ছিলেন। কল্যাণীর ধাপার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। সম্প্রতি অবসর নেন। কিন্তু তারপরও ধাপার নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর হাতে।
[আরও পড়ুন: স্কুটি-তে ৭০ কিলো পচা মাংস আটক, দমদমে ভাগাড় আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ ]
বৃহস্পতিবার রাতে কাঁকিনাড়া থেকে মানিককে বজবজে নিয়ে আসা হয়। বজবজ থানায় লাগাতার জেরায় মানিক ধাপা থেকে মরা পশুর মাংস পাচারের কথা স্বীকার করে নেয়। এরপরই শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় মানিককে।
জানা গিয়েছে বিহারের বাসিন্দা সানি মালিক এবং দল কলকাতাকে ঘিরে যে ভাগাড়ের ফেলে দেওয়া মরা পশুর মাংসের কারবার করত তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল মানিকের। অবসরন নিলেও কল্যাণী ধাপার একটি জিনিসও এদিক-ওদিক হওয়ায় সম্ভব ছিল না।
মানিককে ধরে ভাগাড় মাংস পাচারকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ১১-তে পৌঁছল। ২ জন এখনও এই ঘটনায় আটক রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলাই প্রথম ভাগাড়ের মাংস পাচারকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। সেই ঘটনায় যে বজবজ পুরসভার এক কর্মী রাজাও যে জড়িত সে তথ্যও দেওয়া হয়েছিল। ভাগাড় মাংস পাচারকাণ্ডের চক্র যে অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তার প্রথম ইঙ্গিতও দিয়েছিল ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা।
ভাগাড়ের মাংস পাচারকাণ্ডে পুলিশ তদন্তে আরও জোর আনছে। এই চক্রের জালে আরও বহু রাঘব বোয়াল জড়িত বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।