কলকাতার বুকেও কি জঙ্গি-ঘাঁটি! বেলেঘাটা-কাণ্ডে প্রচুর বিস্ফোরক মজুতের হদিশ ফরেনসিকের
কলকাতারও রেহাই নেই। খাস কলকাতার বুকেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘুম ছুটিয়ে দিল পুলিশের। বেলেঘাটার বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এএনআই তদন্তের সম্ভাবনা জোরদার হল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক রিপোর্টেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।
কলকাতারও রেহাই নেই। খাস কলকাতার বুকেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘুম ছুটিয়ে দিল পুলিশের। বেলেঘাটার বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এএনআই তদন্তের সম্ভাবনা জোরদার হল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক রিপোর্টেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। ফরেনসিক জানিয়ে দিল, ওই ক্লাবঘরে মজুত করা ছিল বোমা ও বোমা তৈরির মশলা।
এর আগে বাংলার বিভিন্ন জেলায় এহেন কাণ্ড-কারখানা দেখা গিয়েছে। তা বলে খাস কলকাতার বুকেও বোমা তৈরির কারখানার হদিশ মেলায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। বেলেঘাটা মেন রোড চত্বর হঠাৎ কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের আওয়াজে। তারপর দেখা যায় ক্লাবের তিনতলার ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
চাপ দেওয়ালের মধ্যে থাকা দুটি্ মোটা পাঁচিল ভেঙে যায়। ছাদের কংক্রিটের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত জোর ছিল যে, মোটা দুটি ইটের পাঁচিল পুরো ভেঙে পড়ে। কাঁচের জানালা ভেঙে চুর মার হয়ে যায়। ক্লাবের তরফে দাবি করা হয় কেউ বোমা ছুড়েছে পরিকল্পিতভাবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
এরপর ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনসিক বিশেষজ়্ জানান প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত ছিল। প্রচুর স্প্রিন্টার উদ্ধার হয়েছে। ক্রুড বোমা বানানোর সামগ্রীও মজুত ছিল বলে দাবি ফরেনসিকের। লকেট চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যেতে বাধা পেয়ে দাবি করেন এনআিএ তদন্তের। কারণ পুলিশে্র উপর কোনও ভরসা নেই। মঙ্গলবা রাতেই পুলিশ স্বত্বপ্রণোদিত মামলা করে।