চতুর্থ দিনেও জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ, অধ্যক্ষাকে গ্রেফতারের সুপারিশ শিশু সুরক্ষা কমিশনের
চতুর্থদিনেও রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে জমায়েত অভিভাবকদের। এদিকে যাদবপুর থানায় অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও অধ্যক্ষার গ্রেফতারের সুপারিশ করেছে।

শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, শিশুটি গতদুদিন ধরে আপাতত ভাল আছে। তাঁর দাবি, অধ্যক্ষা গ্রেফতার হলে আরও তথ্য সামনে আসবে। শিশুকে তাঁরা স্কুলে পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
শিশুকে যৌন নিগ্রহের গটনা সামনে আসতেই স্কুলের অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি ছিল অধ্যক্ষাকে বরখাস্ত করতে। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এবার সেই সুপারিশই করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। পসকো আইনের চার নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হোক জিডি বিড়লা স্কুলের অধ্যক্ষা শর্মিলা নাথকে। এমনটাই সুপারিশ করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। এদিকে নির্যাতিতা শিশুর বাবা অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফলে অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ১২০-বি( অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ২০১ (প্রমাণ লোপাট) এবং পসকো আইনের ২১ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।

অধ্যক্ষা শর্মিলা নাথের দেওয়া বিবৃতিতেই ক্ষোভ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। তিনি বলেছিলেন, ঘটনার দিন, সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে, শিশুটির পরিবার যখন শ্রেণি শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাঁরা বলেন, শিশুটি বানিয়ে বলছে। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষোভ বাড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। অপরাধ ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
রবিবার পুলিশি মধ্যস্থতায় ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে অভিভাবকদের আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পুলিশের তরফে আলিপুর বডিগার্ডলাইনে গিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অভিভাবকরা। স্কুলের বাইরে আলোচনার প্রস্তাব হওয়ায় তা খারিজ করে দেন অভিভাবকরা। অধ্যক্ষাকে আগে গ্রেফতারের দাবি করেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে স্কুল খোলার দাবিও করেছেন তাঁরা।
জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে লালবাজারের ওমেন্স গ্রিভান্স সেলের হাতে। তারা যাদবপুর থানা থেকে নথি সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করবেন।