শীত জুড়ে বৃষ্টি, দাম বাড়ছে মরসুমি সবজির, সমস্যায় চাষি থেকে আম আদমি
Array
এই শীতের মরসুমে দক্ষিণবঙ্গে প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। গত দিন দুই ধরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি না হলেও দেখা গিয়েছে পশ্চিমের বেশ কয়েকটি জেলায় ভালোরকম বৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব বাজার দরে পড়তে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শীতের সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে।
বড় ফুলকপির দাম এই শীতের মরসুমে সাধারণত খুচরো বাজারে ২০ টাকা থাকে। সেটাই এখন ছোট ফুলকপির দাম ২৫ টাকার কমে মিলছে না। বড় ফুলকপির দাম ৪০ টাকা করে চাইছেন বিক্রেতারা। বাঁধাকপির দাম আই সময়ে ১৫ টাকা কিলো হয় সেটা এখন ২০ টাকা কিলোর কমে মিলছে না। সবথেকে খারাপ অবস্থা বেগুনের দাম। ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কিলোর দাম চাইছে খুচরো বাজারে। অনেকে ৮০ টাকা কিলো দাম বলতেও ছাড়ছেন না। পিঁয়াজকলির দাম ৫০ টাকা কিলোর নীচে থাকছেই না। একটা সময়ে এটাই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেটাই বৃষ্টির জেরে দাম বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। নিমপাতা এক আটির দাম নিয়ে নিচ্ছে ৫ টাকা। সজনে ফুলের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কিলো দরে মিলছে খুচরো বাজারে। টমেটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র পালং শাক ও আলুর দাম বেশ কিছুটা কম রয়েছে। পালং শাক ২০ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজির মধ্যে মিলছে আলুও। ক্যাপসিকাম সেটাও ১০০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনওভাবেই। এবং এর কারণ হল বৃষ্টি।
কমল
দাস
যিনি
শিয়ালদহ
বাজারের
কমিটির
প্রধান
তিনি
জানিয়েছেন,
'এই
মরসুমে
বারবার
বৃষ্টি
শীতের
সবজিকে
অনেক
ক্ষতি
করেছে।
মানুষের
চাহিদা
তো
কমে
না,
যোগান
দেওয়া
যাচ্ছে
না
তার
ফলে
এই
শীতের
মরসুমে
চাষিদের
যেমন
ক্ষতি
হয়েছে
তেম্ন
সমস্যায়
পড়েছে
সাধারণ
মানুষও।
তার
সঙ্গে
তেলের
দাম
যে
হারে
বেড়ে
রয়েছে
যারা
খুচরো
বাজারে
জিনিস
নিয়ে
আসছেন
তাদের
খরচও
বেড়ে
যাচ্ছে।
সবমিলিয়ে
পকেট
কাটা
যাচ্ছে
মধ্যবিত্ত
মানুষের।
বাজার
করতে
হিয়ে
সত্যিই
সমস্যা
হচ্ছে,
বাজেট
ছাড়িয়ে
যাচ্ছে
বেশিরভাগ
দিনই'।
শুধু
সবজি
নয়
রুই,
কাতলা,
বাটা,
চারাপোনার
মতো
অতি
সাধারণ
রোজগার
খাবার
মাছের
দাম
বাড়ছে।
তার
জন্য
মূলত
দায়ী
আবার
পেট্রোল
ডিজেলের
দাম।
মাছ
নিয়ে
আসতে
অনেক
খরচ
হয়ে
যাচ্ছে
বিক্রেতাদের।
কিছু
ক্ষেত্রে
দাম
বাড়িয়েও
রাখা
হয়
হবে
মূল
সমস্যা
যাতায়াতের
খড়চ
বেড়ে
যাওয়া।
আলিপুর
আবহাওয়া
দফতর
জানাচ্ছে
আবার
কিছু
দিনের
জন্য
পারদ
নামবে।
তবে
গত
২৪
ঘণ্টায়
শ্রীনিকেতনে
১৬.৫
,
বহরমপুরে
৩.০,
আসানসলে
৮.০
,
বাকুড়া
ও
মালদহে
০.৪
মিলিমিটার
করে
বৃষ্টি
হয়েছে।
কলকাতায়
ছিটেফোটা
বৃষ্টি
হয়েছে।
আর
এ
শুধু
এই
দুই
দিনের
বৃষ্টি
তো
নয়।
এই
শীতের
পুরো
মরসুমেই
অনেক
বেশি
বৃষ্টি
হয়েছে
যার
প্রভাব
পড়েছে
বাজারের
দাম
দরে।