যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজিতে বিধ্বংসী আগুন
যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজিতে বিধ্বংসী আগুন
আগুন লাগল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি (আইআইসিবি)-তে। আগুন লাগে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায়। তারা দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য রণে নেমে পড়ে। তবে ঠিক কী কারণে এই আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
কখন লাগে আগুন ?
দুপুর তখন সাড়ে বারোটা, আচমকা আইআইসিবি গবেষণাগার থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন সংস্থার কর্মীরা। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। ওই ঘটনা দেখার পরেই তাঁরা দ্রুত খবর দেন স্থানীয় দমকল অফিসকে। গাড়ি নিয়ে ছুটে আসে দমকলের গাড়ি। কাজ শুরু হয়েছে। কাজ করছে পাঁচ পাঁচটি ইঞ্জিন।
কয়েকদিন আগেও লাগে আগুন
ঘটনা হল এই নিয়ে পর পর কয়েক দিনের ফারাকে, যাদবপুরের দুটি শিক্ষাকেন্দ্রে আগ্যন লাগল। আগের দিন আগুন লেগেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগুন লাগার পর জানা যায় যে সেখানে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আগুন লেগে পুড়ে ছাই যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, যে সব যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সব মিলিয়ে তাঁর ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছিল ক্ষতি হওয়া যন্ত্রপাতির মধ্যে জানা গিয়েছে এমন অনেক যন্ত্র ছিল যা অনুদানে পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
কি ঘটেছিল ?
এই ঘটনা ছিল গত বুধবার রাতের। আগুন লাগে এক পাঁচতলার ল্যাবরেটরিতে। জানা যায় সেটি ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবরেটরি। এরপর অন্যান্য ঘরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পায় দমকল। তারা তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে আসেন।কাজে নেমে পড়েন আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার জন্য। রাত তখন প্রায় সাড়ে তিনটে। অর্থাৎ তিন ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর কাজ হয়। তারপর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কারা দেখে সেই আগুন ?
প্রথমে ওই আগুন দেখতে পায় কয়েকজন পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর এমনটাই ছিল। দমকলে খবর দেন তারাই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান শাশ্বতী মজুমদার। তিনি জানান যে, প্রথমে আগুন লাগে ইলিউমিনেশন ল্যাবরেটরির অধীনস্থ মানিক সরকার ল্যাবরেটরিতে। অন্যত্র আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল সেখান থেকে । অনেক লেজার যন্ত্রপাতি ছিল মানিক সরকার ল্যাবরেটরিতে। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় সেগুলি অধিকাংশই। শাশ্বতী মজুমদার এমনটাই জানিয়েছিলেন। লেজার শো-এর জন্য বিখ্যাত মানিক সরকার। তিনি এই সমস্ত যন্ত্রপাতি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে। তাঁর নামে করা হয় বিভাগের নামকরণ। তারপর থেকেই ওই সব যন্ত্র ওখানে থাকত। তা আগুনে যায় পুড়ে। দমকলের অনুমান ছিল প্রাথমিকভাবে যে শর্টসার্কিট থেকে ওই আগুন লেগেছে। অন্য কারণ রয়েছে কি না তাও দেখা হবে। তদন্ত হবে। ফরেনসিকের সাহায্য নেওয়া হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য সুরঞ্জন দাস এমনটাই জানিয়েছিলেন
প্রীতীক ছবি
হিন্দুদের 'সংখ্যালঘু' ঘোষণার ক্ষমতা রাজ্যেরও রয়েছে, হলফনামায় সুপ্রিমকোর্টকে জানাল কেন্দ্র