উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শহরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, ফের পুরকর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরহাদ হাকিমের
কলকাতার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
কলকাতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা। শহরে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আগেই তিনি বলেছিলেন, ডেঙ্গুতে একাধিক নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কলকাতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুজোর পর নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফিভার সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। তিনি বলেন, পুজো অবধি পুরকর্মীদের ছুটি আগেই বাতিল করা হয়েছে। সেই নির্দেশ এখনও অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততদিন পুরকর্মীদের ছুটির নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক আক্রান্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর পরীক্ষা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার জন্য তিনি কার্যত আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন। একদিকে ভ্যাপসা গরম। অন্যদিকে বিচ্ছিন্নভাবে প্রায় প্রতিদিই বৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে অক্টোবরের ১৪ তারিখ। এখনও ঘাম হচ্ছে। আগে কখনই এই সময়ে ঘাম দেখেছেন। এই কারণেই ডেঙ্গি বেড়েছে। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের শহরের বাসিন্দা আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'ডেঙ্গুতে সেই ভাবে কিছু করা থাকে না। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু ময়লা ফেলার জন্য হয় না। অপরিষ্কার জায়গায় ডেঙ্গুর মশার জন্ম হয় না। ডেঙ্গুর মশার জন্ম হয় জমা জল থেকে। জলাশয় থেকে এখনও ডেঙ্গু লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। অবার ফাঁকা মাঠ গুলিতে বৃষ্টির জেরে জল জমে যাচ্ছে। সেখানেও জমা জল থেকে ডেঙ্গুর লার্ভার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর কলকাতা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তু পূর্ব কলকাতা ফাঁকা মাঠের সংখ্যা বেশি। সেখান থেকে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে।। অবার অনেক জায়গায় শরিকি বিপদে জেরে বাড়িগুলো বন্ধ রয়েছে। সেখানেও বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গুর লার্ভা জমা হচ্ছে। কলকাতা পৌর সংস্থার কর্মীরা কাজ করছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।' তিনি শহরের বাসিন্দাদেরও জমা জলের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আবেদন করেন।
প্রাক্তন অধ্যাপক হাইকোর্টে বেকসুর খালাস, এনআইএ আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ শুনানি