রেড রেড করে বাংলার অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা! বিস্ফোরক ফিরহাদ
রেড রেড করে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে! এমনটাই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার হদিশ পান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। আর এর
রেড রেড করে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে! এমনটাই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার হদিশ পান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। আর এরপর ফের একবার কলকাতায় টাকার পাহাড়।
এখনও পর্যন্ত কলকাতার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে টাকা গণনার কাজ এখনও চলছে। ফলে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বসায়ীদের এভাবে হেনস্থা করব।
আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েও ফিরহাদ বলেন, রেড রেড করে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন এহেন মন্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। তিনি এমনটা মনে করছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানান ফিরহাদ। বলেন, রেড করা হচ্ছে বাংলাজুড়ে। আর তা করে দেখাতে চাইছে বাংলায় ব্যবসা করো না। ব্যবসা করতে হলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। এখানে থাকলে ব্যবসায়ীদের এভাবে হেনস্থা করব। আর তা করে এখানকার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা বলে আমার মনে হয় বলে মন্তব্য কলকাতার মেয়রের।
আইনত যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে
আজ শনিবার কলকাতা পুরসভাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল ফিরহাদ। সেখানে তিনি বলেন, এর আগে কতগুলি রেড হল। বড়সড় ব্যবসায়ী বিল্ডিং হাউসে তা করা হয়েছে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি বলে মন্তব্য মন্ত্রীর। তবে যেখানে পেয়েছে ঠিক আছে। বাজেয়াপ্ত করে আইনত যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। সেখানে কিছু মন্তব্য করতে চাই না বলে দাবি তাঁর। তবে রেড রেড করে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাতে বেঙ্গলের অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়া যায় বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের।
বাংলায় অর্থনীতি আছে নাকি?
অন্যদিকে বাংলার রাজনীতিতে কালো টাকার রাজত্ব গড়ে উঠেছে বলে দাবি সুজন চক্রবর্তী। গার্ডেনরিচে যেভাবে ৭ কোটি পাওয়া গিয়েছে তা অবাক হয়ে যাওয়ার মতো। পশ্চিমবাংলাকে পচিয়ে দিল। কালো টাকা শুধু...। যত বড় নেতা তত বড় চোর বলে মন্তব্য বর্ষীয়ান বাম নেতার। বাংলায় অর্থনীতি আছে নাকি ফিরহাদকে পালটা দিলেন রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, তৃণমূল বাংলার অর্থনীতিকে আগেই ভেঙে দিয়েছে। তবে উনি কালো টাকা আড়াল করতে চাইছেন বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার।
তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি
বলে রাখা প্রয়োজন, সকাল থেকে কলকাতার তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা। পার্ক স্ট্রিট, গার্ডেনরিচ এবং মোমিনপুর তিনটি জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। পার্ক স্ট্রিটের কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলছে। সেই সময়েই তল্লাশি শুরু হয় গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে তল্লাশি শুরু হয়। সেখানে তল্লাশি চলে পরিবহণ ব্যবসায়ী নাসির খানের বাড়িতে। নিউটাউন-সহ শহরের একাধিক জায়গায় এই ব্যবসায়ীর অফিস রয়েছে। সেইসব জায়গাতেও তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা।