পার্থর কাজে লজ্জিত তৃণমূল! তৃণমূলের সবাই চোর নয়, তদন্তের তালিকায় বাম-কং নেতাদের নাম প্রকাশ ফিরহাদ-ব্রাত্য
না এখন আর নকুল দানা, বাতাসার কথা নেই। এখন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বিশ্রাম চান। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পরে এতদিন পার্ছ চট্টোপাধ্যায়কে
না এখন আর নকুল দানা, বাতাসার কথা নেই। এখন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বিশ্রাম চান। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পরে এতদিন পার্ছ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে না পারলেও, এদিন ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) পাশে নিয়ে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাজে লজ্জিত তৃণমূল (Trinamool Congress) । তবে তৃণমূলের সবাই চোর নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
১৯ নেতার নামে অস্বস্তিতে তৃণমূল
তৃণমূলে অস্বস্তি ইডির তদন্তের আওতায় ১৯ জন প্রভাবশালী নেতামন্ত্রীর নাম আসায়। যা নিয়ে গত দুদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এই ১৯ জনের তালিকায় রয়েছেন, মলয় ঘটক, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শিউলি সাহার মতো মন্ত্রীরা।
২০১১
ও
২০১৬-তে
বিধানসভা
নির্বাচনের
সময়
শাসকদলের
নেতা
ও
মন্ত্রীরা
যে
হলফনামা
নির্বাচন
কমিশনে
জমা
দিয়েছিলেন,
তাতে
দেখা
যাচ্ছে
২০১১-র
পর
থেকে
তা
কয়েকগুণ
বেড়েছে।
কোনও
কোনও
নেতামন্ত্রীর
সম্পত্তি
১
হাজার
গুণ
বেড়েছে
বলে
অভিযোগ
করে
হাইকোর্টে
জনস্বার্থ
মামলা
দায়ের
করা
হয়েছিল।
পার্থর কাজে লজ্জিত তৃণমূল
এদিন
বিষয়টি
নিয়ে
সাংবাদিক
সম্মেলন
করেন
ফিরহাদ
হাকিম
এবং
ব্রাত্য
বসুরা।
সেখানে
শুরুতেই
ফিরহাদ
হাকিম
বলেন,
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
যা
করেছেন
তাতে
তারা
লজ্জিত।
কিন্তু
তার
মানে
এই
নয়
যে
তৃণমূলের
সবাই
চোর।
তিনি
বলেছেন,
নির্বাচনী
হলফনামায়
আয়-ব্যয়ের
হিসেব
দিয়েছেন
তিনি।
আর
রোজগার
করা
কিংবা
সম্পত্তি
বাড়ানো
অন্যায়
নয়।
তিনি
হাইকোর্টে
করা
মামলাকে
জনস্বার্থে
নয়,
রাজনৈতিক
মামলা
বলেও
মন্তব্য
করেন।
সোমবার
যখন
মামলায়
ইডিকে
পার্টি
করার
নির্দেশ
দেওয়া
হয়,
সেই
সময়
অবশ্য
কারও
মন্তব্য
পাওয়া
যায়নি।
তদন্তের তালিকায় কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের নাম
এদিন
ব্রাত্য
বসু
বলেন,
সম্পত্তি
বৃদ্ধির
তালিকা
নাম
রয়েছে
সিপিএম
ও
কংগ্রেসের
নেতা
ও
প্রাক্তন
মন্ত্রীদের
নাম।
তিনি
বলেন,
কংগ্রেসের
মধ্যে
তালিকায়
যাঁদের
নাম
রয়েছে
তাঁরা
হলেন,
অধীর
চৌধুরী,
আবু
হেনা,
নেপাল
মাহাত,
ফনী
মাহাত
এবং
মোহিত
সেনগুপ্তের।
সিপিএম-এর
সূর্যকান্ত
মিশ্র,
কান্তি
গাঙ্গুলি
এবং
অশোক
ভট্টাচার্যের
মতো
প্রাক্তন
নেতা-মন্ত্রীদের
নামও
তালিকায়
রয়েছে।
তালিকায়
১৩
জন
বাম
নেতার
নাম
রয়েছে
বলে
জানিয়েছেন
ব্রাত্য
বসু।
সব
মিলিয়ে
নাম
রয়েছে
৯
কংগ্রেস
নেতার।
বিজেপির বি টিম সিপিএম এবং কংগ্রেস
এদিন তৃণমূলের তরফে করা সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ হাকিম এবং ব্রাত্য বসুরা বলেন অর্ধ সত্য তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূলের নেতাদের আক্রমণ করছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এদেরকে বিজেপির বিটিম বলেও আক্রমণ করেন তাঁরা। তবে আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ব্রাত্য বসু বলেন, ২০২১-এ জেতা বিজেপি প্রার্থীদের সম্পত্তির দিকেও নজর থাকবে। ফিরহাদ হাকিম প্রশ্ন করেন, অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পত্তির পরিমাণ কত।