পাপ করছে বিজেপি! বিভাজনের রাজনীতির প্রতিফল শীঘ্রই, অমিতকে শরণার্থী-খোঁচা ফিরহাদের
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের অনুপ্রবেশ ও শরণার্থী মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন অমিত শাহ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের অনুপ্রবেশ ও শরণার্থী মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন অমিত শাহ। অসমে এনআরসি করে অনুপ্রবেশ আর শরণার্থীর তকমা দিয়ে বিভাজন ঘটাতে চাইছেন। এটা পাপ। অচিরেই এই পাপের জবাব পাবে বিজেপি।
অমিত শাহের অনুপ্রবেশ খোঁচার বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের ভোট-ব্যাঙ্ক সারা বাংলায়। বাংলার সাধারণ মানুষই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। বরং বিজেপির এখানে কোনও ভোট-ব্যাঙ্ক নেই। অমিত শাহ বলেছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। তার পরিপ্রেক্ষিতেরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই জবাব দিয়েছিলেন।
এবার অমিত শাহের বিরুদ্ধে ব্যাট ধরলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, অমিত শাহ রাজ্যে এসে বিভাজন ঘটাতে চাইছেন। ধর্মীয় বিভাজন ঘটানোর পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থী প্রসঙ্গ তুলে বিভাজন সৃষ্টি করছেন অমিত শাহ। অবৈধ নাগরিকপঞ্জি তৈরি করে অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থী দুই দলে ভাগ করা হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষকে।
তিনি বলেন মানুষ আর ওত বোকা নন। বিজেপির এই নোংরা রাজনীতি তাঁরা বুঝতে পারছেন। আসন্ন ভোটেই বিজেপি সেই জবাব পেয়ে যাবে। তাঁদের আশার চির সমাধি ঘটবে। কারণ অমিত শাহরা বিভাজনের রাজনীতি করে যে পাপ করছেন, তার প্রতিফল তো পাবেনই। যতই চেষ্টা করুন, বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতার দলবল নিয়ে যোগ পদ্মশিবিরে]
এসব ভোটের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা বলেও ব্যাখ্যা করেন ফিরহাদ। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপির কোনও ভিত্তি নেই বাংলায়। তাই বিভাজন সৃষ্টি করে ওরা বাংলায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। তবে তাতে কোনও লাভ হবে না।
[আরও পড়ুন: বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা! অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম ডায়মন্ডহারবার]