বিজেপির ভয়ে লেজ গুটিয়ে ফিরে আসেনি তৃণমূল! প্রমাণ দিতে অসমে ঝড় তুললেন ফিরহাদ
পিছু হটতে শেখেনি তৃণমূল। তার প্রমাণ মিলছে অচিরেই। শিলচরে বাধা পেয়ে তৃণমূল যে লেজ গুটিয়ে ফিরে আসেনি, বৃহস্পতিবার তার প্রমাণ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পিছু হটতে শেখেনি তৃণমূল। তার প্রমাণ মিলছে অচিরেই। শিলচরে বাধা পেয়ে তৃণমূল যে লেজ গুটিয়ে ফিরে আসেনি, বৃহস্পতিবার তার প্রমাণ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস খুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ওই রাজ্য দফতরের দ্বারোদ্ঘাটন হল ফিরহাদের হাত ধরে।
বিজেপি সরকারের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণে অসমে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে অসম যাত্রা করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তখন তৃণমূলের পরিষদীয় দলকে শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। তৃণমূল অভিযোগ করে, তাঁরা যাতে এনআরসি-তে বাদ পড়া মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, তার লক্ষ্যেই ওই ভূমিকা নিয়েছিল অসম প্রশাসন।
কলকাতায় ফিরে ফিরহাদ হাকিম থেকে কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুধাংশুশেখর রায় থেকে মহুয়া মৈত্র-রা জানান, তাঁরা আবার অসমে যাবেন। কোনও শক্তি তাঁদের আটকে রাখতে পারবে না। সেইমতো ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে সদলবদলে অসমের রাজধানী গুয়াহাটি গেল তৃণমূল। লক্ষ্য অসমে রাজ্য দফতরের উদ্বোধন। অবশ্যই এনআরসি-০র প্রতিবাদে জানাতেও ছাড়ৃবে না তৃণমূল নেতৃত্ব।
এনআরসি নিয়ে দলের অবস্থানের বিরোধিতা করে অসমের তৃণমূল রাজ্য সভাপতি দীপেন পাঠক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপরই রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই রাজ্য কমিটিও এদিন তৈরি করবেন ফিরহাদ হাকিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন পর্যবেক্ষক করে অসমে পাঠিয়েছেন ফিরহাদকে। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটি গঠন করার। স্বাভাবিকভাবেই দীপেন পাঠকের স্থলাভিষিক্ত কে হন, সেদিকে যেমন নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের, একইভবে ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল রাজ্য সভাপতির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা চলছে।