শহরের বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে বিস্ফোরক দাবি প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহরে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয তৈরি হয়েছে তার দায় রাজ্য সরকারের নয়। সিইএসসি শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে।
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহরে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয তৈরি হয়েছে তার দায় রাজ্য সরকারের নয়। সিইএসসি শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। এরজন্য সরকারকে দায়ী করলে চলবে না। রবিবার এমনই দাবি করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
দায় সিইএসসির
আম্ফানের পর কলকাতায় দীর্ঘ ৩ দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক না হওয়ার দায় সিইএসসির উপরেই চাপালেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, গাছ কাটার তালিকা সিইএসসি দেয়নি। রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করেছে। কাজেই এর দায় রাজ্য সরকারের নয়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসির সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ আবার মুখ্যসচিব কথা বলেছেন সিইএসসির সঙ্গে।
বেশ কিছু জায়গায় ফিরেছে বিদ্যুৎ
অবশেষে শহরের বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলেছে। যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণী, শীলপাড়া, লেকটাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজার, রাসবিহারি কানেক্টর, বিবি চ্যাটার্জী স্ট্রিটে বিদ্যুৎ ফিরেছে রবিবার দুপুর থেকেই। স্বারাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে একথা।
বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ
গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। সোনারপুরে বিডিও অফিস ভাঙচুর হয়েছে। বেহালা শখের বাজার, ইএম বাইপাস, ঠাকুরপুকুর, ব্যারাকপুর, টিটাগড় সহ একাধিক জায়গায় রাস্তায় নিমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সামাল দিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিস।
কর্মী সংকট সিইএসসিতে
লকডাউনের কারণে সিইএসসিতে কর্মী সংকট তৈরি হয়েছে গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়। মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়ার কথা বলেছে সংস্থা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লোক দিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরাও রাতভর কাজ করে একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করেছেন।
বিরোধীদের আক্রমণ
সেনা নামালে আগে এই পরিস্থিতি হত না বলে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিন দিন আগেই সেনা পেয়ে যেতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে নতুন করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।