আগুন নেবাতে যাচ্ছিল দমকল, কিন্তু তারই ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হলেন যুবতী
আগুন লাগলেই ডাক পড়ে তাদের। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা রক্ষা-কর্তা। কেউ কেউ বিপদে পড়লে ভাবেন এরা মহামানব। যে কোনও বিপদে অনায়সে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।
আগুন লাগলেই ডাক পড়ে তাদের। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা রক্ষা-কর্তা। কেউ কেউ বিপদে পড়লে ভাবেন এরা মহামানব। যে কোনও বিপদে অনায়সে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডেও এরা ঝাঁপ দেন সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে। কিন্তু, এহেন সম্মানিত ব্যক্তিদের উপর এবার লাগল রক্তের ছিটে। কাঠগড়ায় উঠল দমকল। কারণ এক যুবতীর মৃত্যু।
মঙ্গলবার সকালে পোস্তার নলিনী শেঠ স্ট্রিটে আগুন লাগার খবর পায় দমকল। পুজোর আগ দিয়েই বাাগমারি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও অনেকের মনে দগদগে হয়ে রয়েছে। ফলে বড়বাজার এলাকা থেকে এদিন এই অগ্নিকাণ্ঢের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছোটে দমকল বাহিনী। শহরের তিন জায়গা থেকে তিনটি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গিয়েছে নর্থ পোর্ট থানার সামনে থাকা একটি দমকলও পোস্তার উদ্দেশে রওনা দেয়। স্ট্যান্ড রোড দিয়ে রওনা দিয়ে উডবাউন স্ট্রিট-এ ঢোকার চেষ্টা করছিল। সে সময় দমকলের গাড়়ি একটু ব্য়াকে গিয়ে এই গলিতে ঢোকার মুখে এক যুবতীকে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে বছর তিরিশের ওই যুবতী দমকলের গাড়ির পিছনে ছিলেন। দমকলের গাড়িটি আচমকা ব্যাক করলে ওই যুবতী ঠিকমতো সরে যেতে পারেননি। ফলে দমকলের পিছনের ডানদিকের চাকার তলায় পড়ে যান ওই যুবতী।
[আরও পড়ুন: চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসাতালে অগ্নিকাণ্ড, আগুন কলকাতার আরও ২ স্থানে ]
সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবতী-কে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে ওই যুবতী দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই ফুটপাতে বসবাস করতেন। তবে এই ঘটনায় পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের করেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। সাধারণত এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে থাকে। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও মামলা দায়ের হবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার কিছুক্ষণ পেই অবশ্যই দমকলের ইঞ্জিনটি পোস্তায় নলিনী শেঠ স্ট্রিটে গিয়ে আগুন নেবানোর কাজে নেমে পড়ে।